ওষুধে মশা নয় কাবু হচ্ছে মানুষ
দিন-রাতের বাছবিচার নেই, মশার কামড়ে অতিষ্ঠ মানুষ। অভিজাত এলাকা কিংবা বস্তি, অফিসপাড়া অথবা বাসাবাড়ি; মশার জ্বালায় কোথাও সুস্থির হয়ে দুদণ্ড তিষ্ঠানোর জো নেই। সারাক্ষণ চলে হাত-পা ছোড়াছুড়ি। এ অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে বাধ্য হয়ে মশা নিধনের নানা ওষুধ কিনছে মানুষ। অলিগলিতে পাওয়া যায় কয়েল, স্প্রেসহ ইলেকট্রনিক নানা সরঞ্জাম। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন কিংবা পৌরসভার উদ্যোগে ফগার মেশিনের মাধ্যমে বড় পরিসরে ঘরের বাইরে স্প্রের ব্যবস্থাও রয়েছে। আছে কীটনাশক মিশ্রিত মশারিও। তবে মশাকে কাবু করা যাচ্ছে না কিছুতেই। উল্টো মশা নিধনের বাজারি সরঞ্জামের প্রয়োগ-অপ্রয়োগে ঝুঁকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মশার ওষুধের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ায় হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার, ফুসফুস, কিডনির রোগসহ নানা রোগের বিপদ বাড়ছে। মশার ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর মান ও প্রয়োগ নিয়েও বাড়ছে সংশয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, মশা নিধনের কীটনাশকের মধ্যে পাইমেথ্রিনকে তুলনামূলক ভালো বলে বিবেচনা করা হয়। এটি যদি সঠিক ডোজ মেনে ব্যবহার করা যায় তবে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এ দেশে সমস্যা হচ্ছে পারমেথ্রিনও সঠিক মাত্রায় থাকে না। ব্যবহারকারীরাও নিরাপদ ডোজ মানে না। মশা নিধনের বাকি ওষুধ এমনিতেই জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কীটনাশক সরাসরি মানুষের ফুসফুস, লিভার ও কিডনির ক্ষতি করে। বড়দের ক্ষেত্রে ক্ষতির সময়কাল দীর্ঘমেয়াদি হলেও শিশুদের জন্য দ্রুতই বিপদ বয়ে আনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, কীটনাশক-রাসায়নিক কেবল মানুষ নয়, পরিবেশ-প্রতিবেশের জন্যও বিপদ বয়ে আনে। পানির সঙ্গে এসব কীটনাশক সহজেই ছড়িয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে মশার কয়েলে সর্বোচ্চ দশমিক ০৩ মাত্রার ‘অ্যাকটিভ ইনগ্রিডিয়েন্ট’ ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। মশা তাড়ানোর জন্য এ মাত্রাই যথেষ্ট কার্যকর। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনুমোদন ছাড়াই উত্পাদন ও বাজারজাত করা স্প্রে বা কয়েলে শুধু মশাই নয়, বিভিন্ন পোকামাকড়, তেলাপোকা এমনকি টিকটিকিও মারা যায়। এতেই বোঝা যায়, এসব সরঞ্জামে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি হারে ‘অ্যাকটিভ ইনগ্রিডিয়েন্ট’ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ও নিপসমের (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনশন অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন) প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, মশার ওষুধে ক্ষতিকর প্রভাব থাকবেই। কয়েলের ধোঁয়ায় নাক, গলা, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। স্প্রে বা মশার কয়েল ব্যবহারেও একই ধরনের ঝুঁকি। নিয়ম না মেনে ব্যবহার করলে দীর্ঘ মেয়াদে বড় ধরনের বিপদ বয়ে আনে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মশার ওষুধ প্রয়োগের আগে প্রয়োগবিধি বা নির্দেশনা পড়ে কিংবা বুঝেশুনে ব্যবহার করে না বেশির ভাগ মানুষ। ফলে বাড়ছে বিপদ।
অন্যান্য কীটনাশকের পাশাপাশি যেকোনো ধরনের মশার ওষুধের লাইসেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্লান্ট প্রটেকশন উইং সূত্র জানায়, দেশে ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০০ ব্র্যান্ডের মশার ওষুধ তৈরি বা আমদানির মাধ্যমে বাজারজাত হচ্ছে। আর এসব ওষুধের উপাদানের মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ড বিভিন্ন জেনেরিক ব্যবহার করে থাকে। একেক ধরনের মশার জন্য একেক ধরনের ওষুধ রয়েছে। বয়স্ক মশার জন্য এক ওষুধ, লার্ভার জন্য আরেক ওষুধ। তবে সাধারণত দেশে মশা নিধনে পারমেথ্রিন, বায়োঅ্যালোথ্রিন, ডি-ট্রান্স অ্যালোথ্রিন, টেট্রাথ্রিন, ডেল্ট্রামেথ্রিন, বায়োলেথ্রিন, মেটোফ্লুথ্রিন, সাইপারমেথ্রিন, ইমিপোথ্রিন, ডায়াজনিনসহ আরো কিছু উপাদান বেশি ব্যবহৃত হয়। কোনো কোনো কম্পানি যেকোনো একক উপাদান দিয়ে কোনো ওষুধ তৈরি করছে, আবার কেউ কেউ একাধিক কম্বিনেশনের ওষুধও তৈরি করছে।
প্লান্ট প্রটেকশন উইংয়ের পরিচালক মো. গোলাম মারুফ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মশার ওষুধে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির দিকটি বিবেচনায় রেখে আমরা আগের চেয়ে আরো সতর্কতা অবলম্বন করছি, যার অংশ হিসেবে এখন আর রেডি টু ইউজের কোনো ওষুধ আমদানি করা যাবে না। কেবল বাইরে থেকে উপাদান এনে দেশে তৈরি করার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়। পাশাপাশি যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মানছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। ’
মো. গোলাম মারুফ বলেন, ব্যবহারকারীদেরও সচেতন হতে হবে, ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই ব্যবহারবিধি বুঝে নিতে হবে। কারণ বিধি না মেনে ব্যবহারে জনস্বাস্থ্যের বিপদ হতে পারে। এ ছাড়া ভেজাল ও নকল ওষুধেরও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে মানুষের ওপর।
মশার অত্যাচার নিয়ে কথা উঠেছে জাতীয় সংসদেও। সম্প্রতি সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল বলেছেন, ‘মশার কামড়ে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। দেখলাম, যতবার ওষুধটা দেই, মশা কিছু সময়ের জন্য নির্জীব হয়ে যায়, কিছুক্ষণ পর ফের কামড়াতে থাকে। পরে শুনলাম আরো অনেকের অভিজ্ঞতা একই রকম। আমি বিষয়টি সংসদের নজরে আনলাম। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়। ’
বিজ্ঞাপনে বা অনুমোদন নেওয়ার সময় সব মশা মারার কথা বললে তা খুবই বিপজ্জনক বলে জানান মশক বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পোকা সমন্বিত ব্যবস্থাপনার তত্ত্ব এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে শতভাগ মশক নিধন ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে না। এ ধরনের ওষুধে যেমন মানবদেহের ক্ষতি হয়, তেমনি মশার ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য প্রাণিকুলও বিপন্ন হয়। ’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে অনুমোদনপ্রাপ্ত মশার ওষুধের পাশাপাশি ভেজাল ও অনুমোদনহীন ওষুধেরও ছড়াছড়ি। মাঝেমধ্যেই প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার ও আটক করা হয় ভেজাল, নকল ও অনুমোদনহীন মশার ওষুধ। সম্প্রতি সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘অনুমোদনহীন মশার কয়েল জনস্বাস্থ্যের বিপর্যয় ডেকে আনছে’ শীর্ষক সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, স্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং স্বাস্থ্যহানি রোধে দেশে অবৈধ মশার কয়েল উত্পাদনকারী কারখানাগুলো বন্ধ করতে হবে। মশার বিস্তারের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। মশার কয়েল একটা কীটনাশক, তাই মশার কয়েল উত্পাদন করতে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসটিআই কিংবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিতে হবে। মশাও যেমন জটিল রোগের জীবাণু বাহক, তেমনি মশা নিধনের কয়েলও শিশু ও মায়ের জন্যে ক্ষতিকর।
ওই সেমিনারে বক্তারা বলেন, অনুমোদনহীন কয়েলে ‘অ্যাকটিভ ইনগ্রিডিয়েন্ট’ অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার, শ্বাসনালিতে প্রদাহসহ বিকলাঙ্গের মতো রোগ হতে পারে। গর্ভের শিশুও এসব ক্ষতির শিকার হতে পারে। খাদ্যের ফরমালিন ও পানির আর্সেনিকের প্রভাব যেমন দীর্ঘমেয়াদি, তেমনি এসব কয়েলের বিষাক্ত উপাদান মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগের বাসা তৈরি করছে।
ভারতের পুনেতে অবস্থিত বক্ষ গবেষণা ফাউন্ডেশনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্নমানের কয়েলে মানুষের দেহে ক্যান্সার তৈরির উপাদান রয়েছে। ওই ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডা. সন্দীপ সেলভির বক্তব্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি আবদ্ধ কক্ষে একটি ভেজাল মশার কয়েল জ্বালালে মানবদেহে যে ক্ষতি হয় তা ১০০ সিগারেটের ক্ষতির সমান। মানহীন মশার কয়েল বায়ুদূষণের পাশাপাশি ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ওই ফাউন্ডেশন পুনেতে ২২টি গ্রামের ওপর একটি গবেষণা পরিচালনা করে। ফলাফলে দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ পরিবারই নিম্নমানের মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘর-দরজা বন্ধ করে দেয়, যা বিষক্রিয়া তৈরি করছে এবং ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগ তৈরিতে সহায়তা করছে।
ভারতের আরেক গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, কয়েল ব্যবহার করে মশা মারতে গিয়ে ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। কয়েলের সূক্ষ্ম গুঁড়া শ্বাসনালি ও ফুসফুসের পথে গিয়ে জমা হয়। দীর্ঘদিন ব্যবহারে চোখের ভয়ানক ক্ষতি হয়। এগুলো মানুষের শরীরে স্লো পয়জনিং করে। হৃদরোগের ঝুঁকিও থাকে। সব মশার কয়েলেই থাকে অ্যালেট্রিন, যা মস্তিষ্ক ও রক্তের স্বাভাবিক তত্পরতার ক্ষতি করে।
বাংলাদেশ বক্ষব্যাধি চিকিৎসক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু রায়হান বলেন, মশার ওষুধ ব্যবহারে ফুসফুসের ক্যান্সার ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের নানা ক্ষতিকর রোগের ঝুঁকি সৃষ্ট হচ্ছে। তবে এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের গবেষণা হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা জানান, কয়েক বছর ধরে পার্বত্য অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় কীটনাশকযুক্ত মশারি ব্যবহারও বিপদ বয়ে আনছে। বিশেষ করে দেশে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের নামে নিষিদ্ধ একটি কীটনাশক চলছে সরকারিভাবে। ‘কেও ট্যাব ১-২-৩’ নামের এ কীটনাশক সরকারি টাকায় কিনে ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের মশারিতে বিনা মূল্যে প্রয়োগ করা হয়। বলা হয়, ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশা এই কেমিক্যালযুক্ত মশারির সংস্পর্শে আসে না। সরকারের জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় লং লাস্টিং ইনসেকটিসাইড নেট প্রকল্পের মাধ্যমে এ কীটনাশক ও কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ করা হয়। যদিও ওই কীটনাশকের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বলা হচ্ছে, ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশার শরীরে ওই কীটনাশক প্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, যদিও মানুষের ক্ষতি হচ্ছে ঠিকই।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের প্লান্ট প্রটেকশন উইং সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত কেও ট্যাব ১-২-৩ ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। পার্বত্য অঞ্চলের কোনো কোনো এলাকায় এই কীটনাশকযুক্ত মশারির যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই মশারিগুলো মশা রোধে ব্যবহার না করে কাপ্তাই হ্রদে চিংড়ি মাছ ধরাসহ অন্যান্য এলাকায় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। এমনই অনেকে ফসলের জমিতেও ব্যবহার করছে বলে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক বিশেষজ্ঞ বলেন, এসব কীটনাশকযুক্ত মশারি ব্যবহারের নির্দেশনা কার্ডে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ব্যবহার এবং সরাসরি পুকুর বা নদীর পানিতে এ মশারি না ধোয়ার জন্য বলা আছে। এ ছাড়া মশারিতে ব্যবহৃত কীটনাশক মাছের জন্য ক্ষতিকর বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ম অনেকেই মানছে না। ফলে এই কীটনাশক জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ-প্রতিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে তেমন কোনো কার্যকর মনিটরিংও নেই।
রেফারেন্সঃ http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2017/03/11/473183