শেখর দাদা একজন নিঃস্বার্থ প্রকৃতি প্রেমী
লেখক- ক্যাপ্টেন কাওছার মোস্তফা
লেখালেখির অভ্যাস আমার নেই। বহুবছর হলো লেখালেখির কাজ বন্ধ রয়েছে। ইচ্ছাকৃত না হলেও নানা কারণে এটা ঘটেছে। বিশেষ করে পেশাগত কারণে বছরের একটা বড় সময় জাহাজে থাকতে হয়। সমুদ্রের প্রতিকূল আবহাওয়া, জাহাজের দৈনন্দিন কাজকর্ম ও সমস্যা, Commercial Pressure ইত্যাদি কারণে সময় পাওয়া যায় কম। তাছাড়া মনে হয় এসব সহ্য করতে গিয়ে মনের মধ্যে থাকা লেখালেখির ইচ্ছাটা একদম মরে গেছে। কিন্তু আজ দাদাকে নিয়ে লিখতে হচ্ছে দাদার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। যদি এই সম্মানটুকু দাদাকে না দেই তাহলে নিজের কাছেও ছোট হয়ে যাব।
দাদার সাথে আমার পরিচয় কলেজে পড়ার সময় ১৯৮৬ সালে, যখন নটর ডেম কলেজে পড়ি। Nature Study Club এ একসাথে নানা কাজ, ক্লাস, Field work এসব করতে গিয়েই আমরা একে অপরকে ভালভাবে জানতে পারি এবং সময়ের সাথে সাথে আমরা ঘনিষ্ট বন্ধুতে পরিণত হই। এক সময় দেখা গেল আমাদের কথা, চিন্তা-চেতনা সবই প্রকৃতি নিয়ে। যখনই একত্রিত হতাম তখন এসব ব্যাপার ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে আলাপ করেছি বলে মনে পড়ে না। সব সময় বলতেন আর ভাবতেন কিভাবে নতুন জেনারেশনকে প্রকৃতি বিষয়ে সচেতন করা যায়, বাংলাদেশের প্রকৃতি সংরক্ষণে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়, নিজেদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করা যায় ইত্যাদি ইত্যাদি।
যখন জাহাজ থেকে দেশে ফিরে প্রথম কথা হতো তখনই দাদা বলতেন – কতদিন Field work করি না, একসাথে চলুন কোথাও Field work-এ যাই। কলেজে পড়ার সময় যাদের সাথে Field work করতে যেতাম তাদের প্রায় সবাই এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত। দেশে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে দাদার সাথেই সবচেয়ে বেশী Field work করতে যেতাম। তাছাড়া Nature study club এবং Nature study society of Bangladesh-এর নানা কাজে প্রায়ই একত্রিত হতাম। আসলে এ ব্যাপারে এক সাথে বসা আমাদের নিয়মিত কাজের একটা অংশ। সাধারণত আমরা দল বেঁধে একসাথে Field work এ যাই। শ্রদ্ধেয় মিজানুর রহমান ভূঁইয়া স্যার আমাদের গাইড করতে Field নিয়ে যেতেন; কলেজে থাকাকালীন সময়। এমনকি কলেজে থেকে পাশ করে বের হওয়ার পর অনেক বছর স্যার আমাদের নিয়মিত Field এ নিয়ে যেতেন হাতে কলমে শিক্ষার জন্য।
কলেজ শেষে আমি মেরিন একাডেমী হয়ে Ship-এ Join করলাম Cadet হিসেবে আর, দাদা তখন ভার্সিটিতে ফলে আমি সব সময় উপস্থিত থাকতে পারতাম না। কিন্তু যখনই একত্রিত হতাম তখনই Field work, Nature study club এর ক্লাস আর NSSB-র নানা program নিয়ে আলাপ হতো এবং এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। যখনই সময় আর সুযোগ হতো আমরা মিজান স্যারকে সংগে নিয়ে Field-এ চলে যেতাম হাতে কলমে শিক্ষার জন্য। দাদা তখন কলেজে নিয়মিত ছাত্রদের সাথে Nature club এর ক্লাস এ উপস্থিত থাকতেন। শুধু তা-ই নয় ক্লাবের সিলেবাস অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেকচার দিতেন। নিয়মিত ক্লাস ছাড়াও বিভিন্ন Special program/class যেমন- Photography Training Program(PTP), Ground Training Program (GTP), Office Management Training Program (OMTP) ইত্যাদি বিষয়ের উপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিতেন নতুন ছাত্রদের। ক্লাবের অনেক প্রাক্তন ছাত্র যারা অনেকেই এখন খুব ভাল Photographer তাদের প্রথম Photography শিক্ষা দাদার হাতে। আমি যেহেতু চাকরি সূত্রে বাইরে থাকতাম বছরের একটা সময়, ফলে আমাকে এসব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতেই হতো। কিন্তু দেশে ফিরলে শেখর-দা আর মিজান স্যার এর কাছ থেকে ক্লাব আর প্রকৃতির নানা বিষয়ে আমি অবহিত হতাম। শুধু তা-ই নয়। এ ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে প্রচুর নতুন জ্ঞান আহরণ করেছি। পরবর্তীতে যখন আমরা দু’জনে একা Field-এ যেতাম, দাদাই ছিলেন আমার গাইড। প্রকৃতি সম্পর্কে দাদার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।
এরই মধ্যে দাদা লেখালেখিতেও জড়িয়ে পড়েন; বিশেষ করে ছোটদের জন্য। পত্রিকার পাতায় নিয়মিত তাঁর লেখা বের হতো। পরবর্তীতে দাদা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেন ব্যাংকার হিসেবে। কিন্তু কর্মজীবনেও প্রকৃতির সংরক্ষণে আগের মতোই কাজ চালিয়ে যান। কখনই প্রকৃতি-প্রেম থেকে বিচ্ছিন্ন হননি। নিয়মিত লেখালেখি, ছাত্রদের প্রকৃতি সংরক্ষণে শিক্ষা দেওয়া, Field work, সবই অব্যাহত ছিল। নতুন কিছু জানতে কখনই তার মধ্যে উৎসাহের কমতি দেখিনি। যখন ছাত্রদের নিয়ে মাঠে যেতেন, তখন ধৈর্য্যের সাথে তাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতেন; কখনও বিরক্ত হতে দেখিনি। সদা হাস্যময় এবং প্রচন্ড ধৈর্য্যশীল ছিলেন শেখর-দা।
ছাত্র জীবনে আমাদের এ কথা অনেকের কাছে শুনতে হয়েছে “তোমরা গাছ-পালা, পশু-পাখি ছাড়া কি অন্য কিছু বুঝ না? এরকম বোহেমিয়ান জীবনে স্থিরতা আসবে কবে? সামাজিক হও, শুধু গাছ-পালা আর পশু-পাখি নিয়ে থাকলে তো জীবন চলবে না” ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এ ধরনের কথা তাঁকে তাঁর উৎসাহ আর প্রকৃতি-প্রেমে ভাটা পড়তে দেয়নি। পরবর্তী জীবনে আবার তারাই প্রশংসা করতেন যারা এ ধরনের সমালোচনা করতেন। এক সময় শেখর-দা ব্যাংকের অডিট সেকশনে কাজ করতে লাগলেন। ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা পরিদর্শনে যেতেন। এ যেন বর হয়ে দাদার জন্য আরেকটু সুবিধা করে দিল প্রকৃতি পর্যবেক্ষনের। কার্যক্ষেত্রে ঘুরার সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছুটির দিনে চলে যেতেন প্রকৃতি পর্যবেক্ষনে ও ছবি তুলতে। এরকমভাবে আমি দাদার সাথে উনার ছুটির দিনগুলো কাজে লাগিয়েছি।
লাউয়াছড়া পর্যবেক্ষণ – এরকমই একটা ছুটিতে গিয়েছিলাম। আমি ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে রাতে সিলেট পৌঁছাই, আর দাদা বৃহস্পতিবার কর্মদিবস শেষে রাতে যোগ দেন। রাতটা হোটেলে কাটিয়ে পরদিন খুব ভোরে লাউয়াছড়া রওয়ানা দেই। লাউয়াছড়ায় সারাদিন থেকে সন্ধ্যায় Hotel-এ ফেরৎ আসি। সেদিন লাউয়াছড়ায় বেশ কিছু প্রজাতির প্রজাপতির ছবি তুলেছিলাম। এভাবে নানা জায়গায় আমরা ঘুরে বেরিয়েছি। দাদা নিয়মিত প্রত্রিকার পাতায় প্রজাপতির ছবি আর বর্ণনা লিখতেন। আমরা দু’জনেই এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতাম। শুধু প্রকৃতি পর্যবেক্ষণে ঘুরে বেড়ানো নয় যখনই যেভাবে সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষকে আর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃতি সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টির কাজটি তিনি নিভৃতে করে গেছেন। কিছু লোক আছে যারা নাম বা প্রতিপত্যির জন্য কাজ করে না, শুধুই মানব কল্যানে কাজ করে যায়, শেখরদা তাদেরই দলে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক কিছু শিখেছি দাদার কাজ থেকে। নিয়মিত চর্চার অভাবে আমি অনেক কিছুই ভুলে যেতাম। যখন জাহাজ থেকে এসে Field-এ যেতাম তখন দাদা-ই আমাকে আবার নতুন করে মনে রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। অনেক সময় আমরা না পারলে শ্রদ্ধেয় মিজান স্যার বা দ্বিজেন শর্মা স্যার-এর সাহায্য নিতাম। বর্তমানে Internet-এর বদৌলতে অনেক তথ্য সংগ্রহ সহজতর হয়েছে। আগে বই-এ ভালভাবে না পেলে বা বুঝতে না পারলে ছুটতে হতো বিশেষজ্ঞদের কাছে সাহায্যের জন্য; এখনও ছুটতে হয়। কারণ হাতে কলমে জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই এবং তা সহজে মনে রাখতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশের ফুল, পাখি, গাছ-পালা ইত্যাদি প্রকৃতি বিষয়ক ভাল Field guide বা Reference book-এর যথেষ্ট অভাব ছিল। বর্তমানে বেশ কিছু ভাল বই বের হয়েছে। আমরা একটা ভাল দেশী বই-এর অভাব অনেক অনুভব করতাম। শুধু তা-ই নয় অনেক বেশী দামে বিদেশী Field guide গাইড কিনতে হতো। ছাত্র জীবনে এটা আমাদের জন্য কষ্টকরই ছিল। শুধু প্রকৃতি বিষয়ক বই-এর জন্য দাদা আর আমি নীলক্ষেত, পুরানা পল্টন, বাংলাবাজার-এর পুরানো বই-এর দোকানে নিয়মিত টহল দিতাম। এক সময় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বড়দের সাথে সাথে ছোটদের জন্যও আমরা প্রকৃতি বিষয়ক Field guide-বের করব; যাতে এটা সহজলভ্য হয়। আমরা কাজও শুরু করেছিলাম। কিন্তু বেশীদূর এগুতে না পারার প্রধান কারণ আমি। নিয়মিত সময় না দিতে পারায় এটা হয়েছে। কিন্তু দাদা তাঁর তরফ থেকে চেষ্টা ঠিকই চালিয়ে গেছেন। আমরা অক্ষমতার জন্য দাদার কাছে ক্ষমা প্রার্থী।
শেখর-দার অসুখের খবরটা ছিল আমাদের কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। একজন প্রাণ চঞ্চল, জীবনী শক্তিতে ভরপুর মানুষ হটাৎ এমন অসময়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন যখন সমাজ, দেশ তাঁর কাছে অনেক কিছু পেতে পারতো। এটা সত্যিই একটা অপূরণীয় ক্ষতি। অসুস্থ অবস্থায়ও দাদার প্রকৃতি প্রেম আর এ বিষয়ে পড়াশুনা, লেখালেখি বন্ধ ছিল না। প্রায়ই ক্যামেরা, বই, বাইনোকুলার নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। এমনকি কাউকে না বলে একা বের হয়ে যেতেন। মাঝে মাঝে একমাত্র সন্তান প্রিয়ন্তকে সাথে নিয়ে যেতেন।
দাদা প্রায়ই বলতেন কাওছার ভাই, আপনার জাহাজে একদিন যেতে পারলে খুব ভাল লাগতো। কখনও সমুদ্রগামী বড় জাহাজ দেখা হয়নি। কিন্তু এটা সম্ভব হয়ে উঠছিল না কারণ আমি কখনও জাহাজ নিয়ে ১৯৯৪ সালের পর বাংলাদেশের বন্দরে আসিনি। ১৯৯৪-এর আগে বাংলাদেশে আসা হতো কারণ তখন আমি ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে চাকুরী করতাম। বিদেশী Company-তে চাকুরী শুরুর পর কখনও দেশের বন্দরে আসা হয়নি। ভাগ্যক্রমে দাদার ইচ্ছা পূরণের একটা সুযোগ হয়েছিল। যখন উনি কোলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। আমিও সেই সময় জাহাজ নিয়ে হলদিয়া Point-এ এসেছিলাম। সাধারণতঃ যারা জাহাজ সংক্রান্ত কাজকর্মে জড়িত, তারা ছাড়া অন্যদের জাহাজে প্রবেশ এর অনুমতি দেওয়া হয় না; Safety ও Security রক্ষার জন্য। অন্য কোন অতিথি আসতে হলে যে দেশে জাহাজের অবস্থান সে দেশের কাস্টম, ইমিগ্রেশন, পোর্ট-এর নিরাপত্তা অফিসার এদের সবার অনুমতি পত্রের দরকার হয়। আমার জাহাজ তখন হলদিয়া বন্দরে এসেছিল তখন দাদা ফোনে বলছিলেন উনি জাহাজ ঘুরে দেখতে চান। তখন লোকাল শিপিং এজেন্ট-এর সাথে কথা বলে বিশেষ অনুমতির ব্যবস্থা করা হয় তাঁর জাহাজ visit-এর জন্য। শেখর-দা, বৌদি, দাদার ছোট ভাই এবং উনাদের কয়েকজন আত্মীয় মিলে জাহাজে সারাদিন বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকে দেখে মনে হয়েছিল চিকিৎসায় তাঁর অবস্থা ভালোর দিকে। এমনকি বৌদিও তা বলছিলেন। আমরা সবাই খুবই আশাবাদী ছিলাম উনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু দেশে ফিরে দেখলাম আস্তে আস্তে তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। কিন্তু তারপরও উনার প্রকৃতির প্রতি আন্তরিকতা বা কাজ করার উৎসাহ একদম কমেনি। এত অসুস্থতার মধ্যেও সুযোগ পেলে Field-এ বেরিয়ে পড়তেন। এমনকি শেষ দিকে তাঁর একটা অভিযোগ ছিল আমার প্রতি যে, আমি এখন তাঁকে নিয়ে Field-এ যেতে চাই না। Field work-এ গেলে তাঁকে খবর না দিয়ে চলে যাই। যদিও ঐ সময়টা ইচ্ছা করেই তাঁকে নিয়ে বের হতাম না। কারণ তাঁর শারীরিক অবস্থা এ ঘোরাঘুরির উপযুক্ত ছিল না। তথাপি একেবারে শেষ দিকে বাসার কাউকে না বলে তিনি একা একা বের হয়ে গেছেন অনেক বার। গত বছর পাখি মেলায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রথম থেকেই উদগ্রীব ছিলেন। যখন বার বার বললাম দরকার নেই এ অবস্থায় যোগ দেওয়ার, তখন বললেন, আমি তাহলে কিছু ছবি পাঠিয়ে দেই। আমি বললাম ঠিক আছে তা-ই করুন। আমি জানতাম না উনার বাসার Internet লাইন তখন খারাপ ছিল। কাউকে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে ছবিগুলো আমাকে পাঠাতে চেষ্টা করছিলেন Internet cafe থেকে। কিন্তু, অসুস্থতার জন্য সম্ভব না হওয়ায় বাসায় ফিরে বৌদি আর দাদার বোনকে বার বার বলছিলেন যেভাবেই হোক ছবিগুলো আমার কাছে পৌছে দিতে, না হলে ক্ষতি হয়ে যাবে। এমনই dedicated ছিলেন আমাদের শেখর-দা। সত্যিই আমরা আজ এমন একজন সত্যিকারের নিবেদিত প্রকৃতি-প্রেমীকে হারিয়েছি; যা সমাজের জন্য একটা অপূরনীয় ক্ষতি।
এখন আমরা সবাই যদি দাদার প্রকৃতির প্রতি এই dedication-কে মনে রেখে প্রকৃতি সংরক্ষণে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাই এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ করে একটি সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী সৃষ্টি করতে পারি, তবেই মনে হয়তো দাদার আত্মা চিরশান্তি পাবে। আসুন সবাই মিলে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই – যাতে ঘরে ঘরে এমন একজন শেখর তৈরী হয়।