তরমুজের ইতিহাস
তরমুজের সব অংশই বেশ জনপ্রিয় খাদ্য তবে এটি রূপচর্চায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই দিক থেকে যদি চিন্তা করা যায় তাহলে হয়তো ভেসে উঠবে মুখের ত্বকে তরমুজ ঘষতে থাকা আপনার কোনো বান্ধবীর ছবি, যার সঙ্গে এখন হয়তো আপনার আর যোগাযোগ নেই।
তরমুজের সব অংশই বেশ জনপ্রিয় খাদ্য তবে এটি রূপচর্চায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই দিক থেকে যদি চিন্তা করা যায় তাহলে হয়তো ভেসে উঠবে মুখের ত্বকে তরমুজ ঘষতে থাকা আপনার কোনো বান্ধবীর ছবি, যার সঙ্গে এখন হয়তো আপনার আর যোগাযোগ নেই।
প্রাণশক্তিতে ভরপুর উদ্ভিদ নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য কত রকম কৌশল অবলম্বন করে তা নিয়ে বিজ্ঞানিরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও সবকিছু উন্মুক্ত করতে পারেননি। ৪০-৫০ হাজার বছর পর্যন্ত ঘাপটি মেরে পড়ে থাকা পদ্মের বীজ অনুকুল পরিবেশ পেলে অঙ্কুরোদগম হয়। এমন কথা শুনলে অনেকের ধারনা হবে এটাও আফ্রিকার মানুষ খেকো উদ্ভিদের মত শুধুই রোমাঞ্চকর ও চিত্তাকর্ষক গল্প।
ছেলেবেলায় সিরু ছিলো আমাদের কাছে হিরু, কত কল্পনা ছিলো ইচ্ছে ছিলো আমিও বড় হয়ে সিরুর মত এক গাছ থেকে অন্য গাছে যাবো, বাচ্চাদের অনেক আনন্দ দিবো! সিরু হয়ে উঠাই ছিলো আমার প্রতিজ্ঞা ও প্রথম পছন্দ। যাই হোক আমার সিরুর মত হয়ে উঠা হলো না সুপারি গাছের একহাত উপরেও কখনো উঠতে পারিনি।
এটা একধরনের পোকা যার আক্রমনে উদ্ভিদের অনেক ক্ষতি সাধন হয়। এরা সাধারনত সিস্টের চারিপাশে তুলার মত একটা আবরন তৈরি করে ফলে অনেক রকম পেস্টিসাইড ব্যবহার করেও আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়না।
আমরা রঙিন হতে চাই কাউকে রাঙাতে পছন্দ করি। আর কথায় আছে মনে রঙ থাকলে সব কাজে নাকি একাগ্রচিত্তে মনোনিবেশ করা যায়, যার ফলাফলও হয় রঙিন। আমাদের দেশে এক সময় ভুট্টা খুবই অবহেলিত একটি ফসল ছিল,কেউ এর চাষাবাদ করতো কিনা জানিনা, হয়ত বয়োজেষ্ট দের জিজ্ঞেস করলে এর সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে। তবে আজকাল আমাদের দেশে মানুষের খাদ্য ও পশু খাদ্য হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে ফলে চাষাবাদও বৃদ্ধি পেয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই।
যৌন প্রজনন হল অধিকাংশ প্রানী এবং উদ্ভিদের প্রজনন পদ্ধতি। নারীর ডিম্ব বা ডিম্বাণু পুরুষের শুক্রকীট বা শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়ে নবজাতক সন্তানের জন্ম হয়। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন পর্যায় জড়িত রয়েছে।উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ফুলেরা হল সপুষ্পক উদ্ভিদসমূহের যৌনাঙ্গ, যাতে সাধারনত পুরুষ ও স্ত্রী উভয় অংশ বিদ্যমান থাকে।
নাগকেশর, নাগেশ্বর ও নাগলিঙ্গম নিয়ে বিভ্রান্তি ঘটে অহরহ। নামের শুরুতে ‘নাগ’ শব্দটিই এই বিভ্রান্তির প্রধান কারণ। নাগকেশর ও নাগেশ্বর সাদা রঙের ফুল, মাঝখানে হলুদ কেশর উভয়েরই। তবে নাগেশ্বর আকারে বড় এবং কেশরের সংখ্যা অনেক বেশী, দেখতে কিছুটা ডিম পোচের মত ! নাগলিঙ্গমের রঙ ও আকারের লক্ষণীয় ভিন্নতা প্রথমোক্তদের থেকে একে আলাদা করতে সহায়ক।
ছোট ছোট পেরিনিয়াল আগাছা গুলোকে দেখলে অবাক না হওয়ার কোন উপায় নেই। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করেনি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম হবে। গরু ছাগল ও অন্যান্য তৃণ ভোজী প্রাণীরা এদের ছায়াও মাড়ে না। যথার্থ কারণেই এর নামকরণ করা হয়েছে ইলেকট্রিক ডেইজি। মারহাটিটিগা বা ইলেকট্রিক ডেইজ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন আজহারুল ইসলাম।
এদের ফুল সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হওয়ার পর একটা গাছ উঠিয়ে যদি ঝাঁকি (shake) দেয়া যায় তাহলে পরাগ রেণু(Pollen grain) গুলো এমন ভাবে ছড়ায় যে, চারিদিকে ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায় আর এ কারণেই একে গান পাউডার প্লান্ট বলা হয়।
জন্মের পর থেকেই জেনেছি গাছ মানুষের বন্ধু হয়ে এদের জীবন উৎসর্গ করে দেয় মানব কল্যাণে। কিন্তু রক্তকরবীর আচরণ ঠিক তার বিপরীত। এদের পাতা,বাকল,ফুল ও ফল সহ উদ্ভিদের প্রতিটি অংশ বিষাক্ত। এই উদ্ভিদ থেকে নির্গত লেটেক্স সেবন করলে মৃত্যু নিশ্চিত।
কিছু কিছু আলু লতা জাতীয় গাছের কাণ্ডে জন্ম নেয় সেই লতা গুলো সাধারণত অন্য গাছকে অবলম্বন করে উপরের দিকে উঠে যায় অর্থাৎ এরা ক্লাইম্বিং বা আরোহী উদ্ভিদ। আর এ জন্যই একে অঞ্চল ভেদে গৈছালু, গাছালু বলা হয়।
একটু পর্যবেক্ষণ করলেই দেখবেন আপনার বাসায় ছায়া যুক্ত স্থানে রক্ষিত টবে পেপারোমিয়া হঠাৎ উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। অবাকও হতে পারেন কারণ এই টবটি প্রায় ৪-৫ বছর যাবৎ প্রচণ্ড রোদে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। আপনি মাটি পরিবর্তন না করে অনেক দিনের পুরানো মাটিকে খুঁচিয়ে পানি দিয়ে নরম করে একটা ছায়া প্রিয় গাছ লাগিয়ে যখনই পরিচর্যা শুরু করলেন দেখা গেলো একদিন ভোরে পেপারোমিয়া আপনাকে দেখে হাসি দিচ্ছে! কেন হাসছে?
এই গাছকে অঞ্চলভেদে বান্দর গাছ বলে এর ফল ঝুলে থাকলে বান্দরের মতই দেখায়। এছাড়াও একে মধ্যরাতের হরর বলা হয়। বাংলায় এটি সোনা গাছ ও কানাই ডিঙ্গা নামে পরিচিত তবে এর নাম কেন সোনা হল তার সঠিক কারণ আমার জানা নেই। একে ইংরেজিতে ব্রোকেন বোন ট্রি বলা হয় কেননা এর ফল পেকে যদি গাছের নিচে পড়ে তাহলে মনে হয় যেন কোন প্রাণীর হাড় ভেঙ্গে পড়ে আছে। এদের ফুলের আকারের উপর নির্ভর করে একে ইন্ডিয়ান ট্রুপমেট ফুল বলা হয়।
প্রাণীদের মত উদ্ভিদ নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল ব্যবহার করে,কখনো এই কৌশল অন্য উদ্ভিদের ক্ষতির কারণ হয় আবার কখনো পারস্পরিক অসহযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে বা অন্য উদ্ভিদকে...
ভেবে দেখেছেন কি, সবুজ বৃন্তে লাল গোলাপ ও টুকটুকে লাল রক্ত জবা অথবা নীল আকাশের নীচে হলুদ-কমলা সূর্যমুখী কেন বেশী ভালো লাগে? জবা হল সেইরকম টুকটুকে লাল রঙের একটি ফুল যার রূপ মাধুর্য কোন দিক থেকেই অন্য ফুলের চেয়ে কম নয়। জবার বংশগতি নিয়ে আলোচনার পূর্বে এর প্রচলিত কয়টি জাতের পরিচয় তুলে ধরছি।
জলে স্থলে বাতাসে পানিতে সমুদ্রের তলদেশে কোথায় নেই উদ্ভিদ সর্বত্র এরা বিরাজমান। কিছু উদ্ভিদ অন্য উদ্ভিদের উপর সরাসরি বা আংশিক ভাবে নির্ভরশীল। আবার কখনো হোস্ট উদ্ভিদকে একেবারেই মৃত্যুর কোলে ঠেলে...
আমরা বেডরুমে বিভিন্ন রকমের শোভাবর্ধক উদ্ভিদ রাখি কিন্তু এই সব উদ্ভিদগুলো আমাদের জন্য কতটুকু স্বাস্থ্যকর তা হয়ত অনেকেই জানি না। বেডরুম,লিভিং রুম, রিডিং রুম সাজাতে গাছ নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ,কেননা ভুল উদ্ভিদ নির্বাচনে আপনি ও আপনার পরিবারের সমূহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি আসতে পারে।
পাখি,বিভিন্ন রকমের পোকা মাকড় ও মৌমাছি এই সকল উজ্জ্বল রঙের মোহে আকৃষ্ট হয় এটা সকলেরই জানা তবু এই প্রবন্ধের বিষয় হিসেবে কিছুটা তুলে ধরতেই হচ্ছে। উদ্ভিদ তার জিনোমে সংরক্ষিত বৈশিষ্ট্যাবলী দিয়ে চাকচিক্যময় বাহারি ফুল ফুটিয়ে ও বিভিন্ন রকম সুগন্ধ ছড়িয়ে বিভিন্ন প্রকার পাখি, পোকামাকড় ও মৌমাছিদের আকৃষ্ট করে যেন পলিনেটর হিসেবে এরা এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটায়।
কিছু ঘটনা কখনো কখনো গল্পকেও হার মানায়। কথাটি প্রকৃতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মিলে যায়। উদ্ভিদ ও প্রাণীদের আত্মরক্ষার কৌশলগুলোর প্রতি লক্ষ্য করলে বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই। তেমনি উদ্ভিদ ও...
বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারকে জয় করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কতক সমাধান হয়েছে আর কতক এখনো তিমিরেই আছে। ক্যান্সার শব্দটি শুধু মাত্র মানব জাতির জন্যই প্রযোজ্য নয়। যাদের উপর আমরা প্রত্যক্ষ...