শুকনা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষে প্রযুক্তি উদ্ভাবন


6 June 2016. বাকৃবি (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা:

বোরো ধান চাষকে লাভবান টেকসই করতে শুকনা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান ও তার গবেষক দল। দেশে প্রচলিত কাদা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষে প্রতিকেজি ধান উত্পাদনে প্রায় ৩-৫ হাজার লিটার পানি খরচ হয়। নতুন কোনো জাতের উদ্ভাবন ছাড়াই বোরো ধান চাষে পানি সেচের পরিমাণ অর্ধেক দিয়ে ফলন বাড়ানো সম্ভব। এ পদ্ধতিতে প্রচলিত চাষের তুলনায় ৫০-৬০ শতাংশ পানি, ডিজেল ও বিদ্যুত্ সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চালে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার ফলে বোরো ধান চাষ যে হুমকিতে রয়েছে তাও কাটিয়ে উঠবে। এতে ধান চাষ করে লাভবান হবে কৃষক। ড. মশিউর রহমান বলেন, এ প্রযুক্তিতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে বীজ বপন করতে হয়। বীজতলা তৈরি করার কোনো প্রয়োজন হয় না। সামান্য অঙ্কুরিত বীজ (জো) অবস্থায় সরাসরি জমিতে লাইন ধরে বপন করতে হয়। ফেব্রুয়ারিতে বপনের ফলে আমন ধান কাটার পরে সরিষা, আলু বা অন্যান্য রবি শস্য চাষের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। প্রচলিত কাদা পদ্ধতিতে যেখানে ১৫-৩০ বার সেচ দিতে হয় সেখানে ৪-৮ বার সেচেই এ পদ্ধতিতে ফসল ফলানো যায়। ভূগর্ভস্থ পানি খুব সামান্য উত্তোলন করতে হয় বলে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি তেলের খরচ কম হয়। জমিতে পানির পরিমাণ কম থাকায় কাদা পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতিতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কম হয়। এ পদ্ধতিতে ধানের জীবনকাল ১৫ দিন কমে যায়। প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতিতে ধানের ফলন বেশি হবে বলেও জানান তিনি। ড. মশিউরের গবেষণায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন ডিএই এর ডিডি (এলআর) মো. জয়েন উদ্দিন, পিএইচডি শিক্ষার্থী শাহজাহান সরকার এবং রিসার্স ফেলো মোজাহার হোসেন।

Source: www.ittefaq.com.bd/print-edition/country/2016/06/06/123839

Photo Source: www.ittefaq.com.bd/print-edition/country/2016/06/06/123839