বিলুপ্ত প্রায় বাঁশ ও বেতের ঝুড়ি
বাঁশ বা বেতের তৈরী নানাবিধ সামগ্রী আমাদের শিল্প, আমাদের লোকঐতিহ্য l একটা সময় ছিল আমাদের এই লোকসামগ্রী নিত্য দিনের সাংসারিক কাজে ব্যবহৃত হত l গৃহের আসবাব তৈরিতে যেমন বেতের ব্যবহার ছিল তেমনি ছিল বাঁশ দ্বারা নির্মিত ঝুড়ি , কুলা, মাছ ধরা টোপা এমন হরেক রকমের ব্যবহার ছিল যা আজ বিলুপ্তির পথে l কুটিরশিল্প নামক একটি লোকসংস্থান কোনো এক সময় বেকার যুবক ও মহিলাদের কর্মসংস্থান যোগাতো আর সেখানে এই সমস্ত লোকশিল্পের নির্মান ও বিক্রয় সল্প আয় এর মাধ্যম ছিল l পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো চাকমা সম্প্রদায় বাঁশ ও বেতের নানান সামগ্রী তৈরী করে থাকেন যেমন-হাল্লোং, হক্কেরেং, হুরুম l আমাদের দেশীয় শিল্প হিসেবে তৈরী বাঁশ ও বেতের অন্যান্য সামগ্রী ঝুড়ি, ডালা, কুলা, চাঙ্গারী, মুড়া, ঢুষি, হাতপাখা, চালোন, টোকা, বাঁশি, গোলা, ডোলা, আউড়ি, চাঁচ, ধামা, পাতি, চেয়ার, টেবিল, বই রাখার তাকসহ ঘরের খুটি বেড়া এমনি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার হয়ে এসেছে ধনী গরিব সকল গৃহেই l অপর্যাপ্ত কাচা মালের যোগান ও উপযুক্ত মূল্যায়নের অভাবের পাশাপাশি প্লাস্টিক সামগ্রীর জনপ্রিয়তায় বিলুপ্তির পথে আমাদের বাঁশ ও বেত শিল্প l
আধুনিকতার ছোয়ায় পরিবর্তন এসেছে আমাদের চাহিদা ও রুচিবোধে l আমাদের আধুনিকতার সাথে পাল্লা দিতে পিছিয়ে পরেছে এই লোকজ সামগ্রী l কেন না আমরাও আমাদের বাঁশ বেতের ঝুড়িকে স্থান করেদেই আধুনিক সজ্জার আবাস ও বাগানে l পাশ্চাত্যে বাঁশ ও বেতের ঝুড়ির বিবিধ ব্যবহার হয়ে থাকে l আমরাও আমাদের দেশীয় উপাদানে প্রস্তুত ঝুড়িকে নতুন আঙ্গিকে ব্যবহার করতে শিখি এবং ফিরিয়ে ানী এই শিল্প l প্রশ্ন থেকে যায় কিভাবে সম্ভব? ঘর সাজাতে ফুল গাছ সহ টবখানা একটি ঝুড়ির মাঝে রাখুন l ব্যবহারের পূর্বে ঝুড়ির ভেতরের অংশে একটি প্লাস্টিক ব্যাগ জুড়ে দিন l ঝুড়ি পেইন্ট করে নিন রঙিন অথবা সাদা l তাতে ঝুড়ির স্থায়িত্ব বাড়বে l রুটি সেকে রাখার ঝুড়ি খানাও বাশেঁর তৈরী ব্যবহার করুণ। ব্যাবহারের পূর্বে ভেতরে হাতে সেলাই করে এক টুকরা পরিস্কার কাপড় লাগিয়ে নিন l ছোটখাটো জিনিস রাখতে বাশেঁর ঝুড়ি ব্যবহার করুন l ফিরিয়ে আনুন নিজের দেশীয় সামগ্রী l নিজেকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বস্তু ব্যবহারে অভস্ত করুন l গৃহ সাজান দেশজ নান্দনিকতায় l