কম্পোস্ট ও পটিং সয়েল

Compost and potting soil-4

আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যে সুষম পুষ্টি থাকা বাঞ্ছনীয়। আমিষ, শর্করা, মিনারেল ও ভিটামিনের সঠিক পরিমান যদি প্রত্যেক দিনের খাদ্য মেনুতে থাকে তবে আদৌ ভিটামিন ট্যাবলেট প্রয়োজন রয়েছে কি? ঠিক তেমনি গাছের জন্য যদি সুষম খাদ্য কম্পোস্ট বা জৈব সার থাকে তবে রাসায়নিক সারের কি প্রয়োজন?

সবাই বাগান ও ফুলের ছবি দেন আমি এক নজর গাছের গোড়ায় ফেলি, দেখে নেই গাছের গোড়ায় হিউমিডিটি বা আদ্রতা, মাটি বেলে কিংবা এটেল কিনা এবং মাটিতে কম্পোস্টের কালো রঙ দেখা যায় কিনা। কম ফুল ফোটার জন্য বাংলাদেশের গরম আবহাওয়া যতখানি দায়ী ঠিক ততোখানি সঠিক পুষ্টি না পাওয়া দায়ী। অপুষ্ট গাছে বেশি ফুল বা ফল আশা করা ভুল।

বাগান করার অভিজ্ঞতা থেকেই আমি ছাদে একখানা কম্পোস্ট বিন রাখি। সেখানে কিচেন ও বাগানের পাতা, সবজি খোসা, ডিমের খোসা, ব্যবহার করা চা বা কফি, ফলের খোসা,(শুকোনো গোবর যদি থাকে) সব জমা করে রাখি (উপরে গাছের গোড়ায় ব্যবহার করা কম্পোস্ট আমার তৈরী)l বিনে ময়লা দেবার সময়ে অল্প অল্প মাটি মিশিয়ে দিলে কম্পোস্ট প্রসেসিং হবার সময়ে খারাপ গন্ধ ছড়াবেনা। একটা কথা উল্লেখ না করলেই নয় কোনো রকম রান্না খাদ্য দ্রব্য ও মাছ মাংসের অংশ কম্পোস্ট বিনে দেয়া যাবেনা খারাপ ব্যাক্টেরিয়া তৈরী হবে। কম্পোস্ট তৈরীর সময় কাল অন্তত তিন মাস। কম্পোস্ট তৈরীর জন্য ঢাকনা সহ প্লাস্টিক বালতি নিচে ও ঢাকনায় কয়েক খানা ছিদ্র করে নিলেই হবে অক্সিজেন যাতায়াতের জন্য। কম্পোস্ট মেটেরিয়ালে পানি দেবার কোনো প্রয়োজন নেই তাতে কম্পোস্ট শুষ্ক ও গন্ধ মুক্ত থাকবে।
বাগানের শোভা বৃদ্ধির জন্য মাটির লম্বা সুন্দর নক্সা করা পট (নকশি বাজ বা পাত্র) ব্যবহার করা যেতে পারে কম্পোস্ট বিন হিসেবে।। বাগানের এক কোনায় মাটির কম্পোস্ট বিন থাকলে তাতে বাগানের শোভা বৃদ্ধি পাবে ( ছবিতে দেখানো হলো)l গাছের জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম জরুরি এবং তা সঠিক ভাবেই কম্পোস্ট এ থাকে।

{**the primary macronutrients: nitrogen (N), phosphorus (P), potassium (K)
**the three secondary macronutrients: calcium (Ca), sulfur (S), magnesium (Mg)
**the micronutrients/trace minerals: boron (B), chlorine (Cl), manganese (Mn), iron (Fe), zinc (Zn), copper (Cu), molybdenum (Mo), nickel (Ni)}

পটিং সয়েল বা টবের মাটিতে গাছের জন্য নিউট্রিশন বেশি প্রয়োজন হয়, টবের মাটি আঠালো হলে তাতে পানি বেশি জমে থাকবে অথবা শুকিয়ে গেলে তা বেশি শক্ত হয়ে যাবে আর এই ধরনের মাটিতে বাতাস সরবরাহ কমে যায় গাছের শেকড়ে অক্সিজেন পৌছাতে পারেনা। শেকড় বেশি দূরে ছড়াতে পারেনা।বেলে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম। এতে বেশি অ্যাসিড থাকে নয় অ্যাল্কালাইনের পরিমান বেশি থাকে ও হিউমিডিটি কমে যায়।সেক্ষেত্রে মাটির সাথে কম্পোস্ট মিশিয়ে টব তৈরী করুণ। উল্লেখ্য বেলে দোঁআশ মাটি গাছের জন্য উৎকৃষ্ট। গাছের মাটিতে কম্পোস্ট থাকলে গাছের শেকড় ছড়াতে পারে, অন্যান্ন পোকা মাকর বা মিক্রভ ও ভালো ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে যেটা গাছের জন্য নিউট্রিশন প্রডিউস করে, ছত্রাক গাছের রুট জোন বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর এসব কেবল কম্পোস্ট বা জৈব সার বাবহারেই সম্ভব।

হ্যাপি গার্ডেনিং!