লাল পাহাড়ের দেশ – the beautiful RANGAMATI
শুক্র-শনিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি। হঠাৎ করেই মাথায় চাপলো রাঙ্গামাটি যাবো। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা নাগাদ ক্লাসের পরে একটু বিশ্রাম নিয়েই রওনা হয়ে যাই কল্যাণপুরে বাস কাউন্টারে। বিআরটিসির এসি বাস। বাস খুব ভালো, কিন্তু এতো স্লো যে সবাই বিশাল এক ঘুম দিয়ে উঠলাম।
ভোড়ে ঘুম ভাংতেই বাস ঢুকলো রাঙ্গামাটি জেলায়। এই রোদ আবার এই ঘন কুয়াশা। অদ্ভুত পাহাড়ি এলাকার পরিবেশ। এই দেখি রাস্তার দুই পাশে উঁচু পাহাড়, আবার পরক্ষণেই বাস পাহাড়ের চূড়ায় আর দুই পাশে গভীর খাদ। বনরূপা পৌঁছে, গেস্ট হাউসে একটু বিশ্রাম নিয়েই নাস্তা করতে বের হই। হোটেলে গিয়ে দেখি ভোদকার বোতলে পানি!!! এরপর বোটে করে শুরু হয় দিন ব্যাপী যাত্রা। সকালে কড়া রোদের জন্য বোটের ভেতরে বসে থাকতে হয়। রাজবাড়ি, আদিবাসী যাদুঘর ঘুড়ে আড়াই ঘণ্টার যাত্রা – শুভলং ঝর্ণা। মনে হচ্ছিল বিরক্তিকর সময় যাবে, কিন্তু না – এক মুহূর্তের জন্যও মুখে বিরক্তির ছাপ আসে নি।
শুভলং পৌঁছে প্রথমে যখন দেখি যে ঝর্ণায় পানি নেই তখন একটু বিরক্তই হই। কিন্তু ভ্রমণের পুরো স্বাদ উসুল হয় পাথর বেয়ে বেয়ে ঝর্ণার চূড়ায় উঠার মাধ্যমে। এরপর ফিরার পালা। জুমঘরে (পাহাড়ের উপর খাবার দোকান) নেমে সেখানে না খেয়ে বরং বেয়ে উঠে যাই সেই পাহাড়ের চূড়ায়। সেখান থেকে নামার পর প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে চাং পাং এ যাই খেতে। ক্ষুধা এতটাই বেশি ছিল যে, ক্যামেরা রেডি করে পাশে রেখে দেবার পরেও ছবি তুলতে ভুলে যাই।
এরপর চলে আসি ঝুলন্ত সেতুতে। সেখান থেকে ফিরে যাই রুমে।
পরের দিন সকালে বাসে করে ফিরি চট্টগ্রাম। ফিরেই প্রথমে ঢাকা ফিরার বাসের টিকেট কেটে চলে যাই পতেঙ্গা। ওখানে তৌফিকের ক্যাডেট বন্ধু শাওনকে পেয়ে যাই। ওর সাথে হয় পতেঙ্গা ভ্রমণ। ন্যাভাল একাডেমির মেসে শাওনের ওখানে বিশ্রাম নিয়ে চলে যাই পতেঙ্গা সৈকতে। স্পিডবোটে করে সমুদ্রভ্রমণ ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা। সময়ের অভাবে সুজোগ থাকা সত্ত্বেও পতেঙ্গায় অনেক কিছু দেখা হলো না।
আবার ফিরে এলাম ব্যস্ততার নগরী ঢাকায়…
ধন্যবাদ ভ্রমণসঙ্গী Salman, Sajid, Toufik, Noman ভাই, ShaDly ভাই, Nadvee ভাইকে। বিশেষভাবে ধন্যবাদ Shawon কে। 🙂
লিখেছেন- ওয়াহিদ মুরাদ জিতু, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।