জিকার ঝুঁকিতে বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষ

22 April, 2016

22.04.16 n-5

বিবিসি
বিশ্বের ২২০ কোটিরও বেশি মানুষ জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। যেসব এলাকায় এ ভাইরাস ছড়াতে পারে, সেগুলোর একটি গবেষণা মানচিত্র প্রকাশিত হয়েছে ই-লাইফ জার্নালে। এতেই এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এডিস প্রজাতির মশার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। চলতি বছর ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশে এ ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু মানুষের মধ্যে জিকার সংক্রমণ ঘটেছে। জিকার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সাম্প্রতিকতম গবেষণাটি বলছে, জিকা সম্পর্কে আগে যা ধারণা করা হয়েছিল, এটি তার চেয়েও মারাত্মক। শুধু তা-ই নয়, জিকা ছড়ানো এডিস মশাও অপেক্ষাকৃত বেশি দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম। ফলে একটি দেশের কোনো প্রান্তে জিকার সংক্রমণ দেখা দিলে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া খুব স্বাভাবিক। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিকার সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো। এই অঞ্চলে এরই মধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। এ ছাড়া আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের অধিবাসীরাও সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের গবেষক ড. অলিভার ব্র্যাডি বলেছেন, এর আগে প্রকাশিত মানচিত্রগুলোয় জিকাকে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার মতো বলে মনে করা হয়েছে। নতুন প্রকাশিত এ গবেষণা মানচিত্রে জিকার প্রকৃত চেহারা অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) নিশ্চিত করেছে, গর্ভবতী নারীদের দেহে জিকার সংক্রমণ হলে নবজাতক শিশু অপেক্ষাকৃত ছোট আর অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ ত্রুটিকে মাইক্রোকেফালি বলা হয়। ব্রাজিলে সম্প্রতি এ ত্রুটিযুক্ত নবজাতক জন্মানোর তথ্য সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।
Source: http://www.prothom-alo.com/international/article/836722
Photo Source: www.vox.com