ডুলাহাজরা সাফারী পার্কে বিরল প্রজাতির ভল্লুকের বাচ্চা

IUCN-এর রেড ডাটা বইতে তালিকাভূক্ত বিপন্ন তিন প্রকার ভল্লুকের প্রজাতিগুলো হচ্ছে কালো ভল্লুক, শ্লথ বিয়ার ও মালায়ান সান বিয়ার। গত ১৮ জুন রাতে নানিয়ারচর উপজেলার জোড়াছড়ি গ্রামের সুভাষ চাকমা বাড়ীর পাশের জঙ্গলে হঠাৎ করে ভল্লুকের ডাক শোনেন এবং কৌতুহলবশত একটি ঝোপের ধারে যান। মানুষ দেখে মা ভল্লুকটি গভীর জঙ্গলে চলে যায়। পরদিন সকালে সুভাষ চাকমা ঐ ঝোপের মধ্যে ২টি নবজাতক ভল্লুকের বাচ্চা দেখতে পান। তিনি ঘটনাটি স্থানীয় UPDF-এর নেতৃবৃন্দকে জানান এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ি বাচ্চা দুটিকে ঝোপের মধ্যে ২ দিন ফেলে রাখা হয়। কিন্তু মা ভল্লুক ফিরে না আসায় মাতৃদুধের জন্য নবজাতক ভল্লুক দু’টি চিৎকার করতে থাকে। তাই তিনি বাচ্চা দু’টিকে বাড়িতে নিয়ে এসে গরুর দুধ পান করিয়ে লালন করতে থাকেন। UPDF-এর রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিটের সদস্য নতুন কুমার চাকমা ও অমলেশ চাকমার অনুরোধে চট্টগ্রামের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. তপন কুমার দে বিগত ৫ই আগস্ট কুতুবছড়ি এলাকায় যান। তারা বিরল প্রজাতির এ ভল্লুকের অসুস্থ বাচ্চা দু’টিকে ড. তপন কুমার দে’র নিকট হস্থান্তর করেন। ডুলাহাজরা সাফারী পার্কের বন্যপ্রানী চিকিৎসালয়ে ভেটেরিনারী সার্জনের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর বাচ্চা দু’টি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে। বর্তমানে বাচ্চা দু’টি উক্ত পার্কে সযত্নে লালিত হচ্ছে।

দৈনিক ইনকিলাব – ১২ আগস্ট, ২০০৬