Category: Articles

ইলেকট্রিক ডেইজি

ছোট ছোট পেরিনিয়াল আগাছা গুলোকে দেখলে অবাক না হওয়ার কোন উপায় নেই। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করেনি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম হবে। গরু ছাগল ও অন্যান্য তৃণ ভোজী প্রাণীরা এদের ছায়াও মাড়ে না। যথার্থ কারণেই এর নামকরণ করা হয়েছে ইলেকট্রিক ডেইজি। মারহাটিটিগা বা ইলেকট্রিক ডেইজ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন আজহারুল ইসলাম।

গান পাউডার প্লান্ট

এদের ফুল সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হওয়ার পর একটা গাছ উঠিয়ে যদি ঝাঁকি (shake) দেয়া যায় তাহলে পরাগ রেণু(Pollen grain) গুলো এমন ভাবে ছড়ায় যে, চারিদিকে ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায় আর এ কারণেই একে গান পাউডার প্লান্ট বলা হয়।

রক্তকরবী-মৃত্যুর হাতছানি

জন্মের পর থেকেই জেনেছি গাছ মানুষের বন্ধু হয়ে এদের জীবন উৎসর্গ করে দেয় মানব কল্যাণে। কিন্তু রক্তকরবীর আচরণ ঠিক তার বিপরীত। এদের পাতা,বাকল,ফুল ও ফল সহ উদ্ভিদের প্রতিটি অংশ বিষাক্ত। এই উদ্ভিদ থেকে নির্গত লেটেক্স সেবন করলে মৃত্যু নিশ্চিত।

অযৌন প্রজননে উদ্ভিদের বুলবিল

কিছু কিছু আলু লতা জাতীয় গাছের কাণ্ডে জন্ম নেয় সেই লতা গুলো সাধারণত অন্য গাছকে অবলম্বন করে উপরের দিকে উঠে যায় অর্থাৎ এরা ক্লাইম্বিং বা আরোহী উদ্ভিদ। আর এ জন্যই একে অঞ্চল ভেদে গৈছালু, গাছালু বলা হয়।

অবহেলিত আগাছা পেপারোমিয়া

একটু পর্যবেক্ষণ করলেই দেখবেন আপনার বাসায় ছায়া যুক্ত স্থানে রক্ষিত টবে পেপারোমিয়া হঠাৎ উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। অবাকও হতে পারেন কারণ এই টবটি প্রায় ৪-৫ বছর যাবৎ প্রচণ্ড রোদে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। আপনি মাটি পরিবর্তন না করে অনেক দিনের পুরানো মাটিকে খুঁচিয়ে পানি দিয়ে নরম করে একটা ছায়া প্রিয় গাছ লাগিয়ে যখনই পরিচর্যা শুরু করলেন দেখা গেলো একদিন ভোরে পেপারোমিয়া আপনাকে দেখে হাসি দিচ্ছে! কেন হাসছে?

ব্রোকেন বোন ট্রি- মধ্যরাতের হরর

এই গাছকে অঞ্চলভেদে বান্দর গাছ বলে এর ফল ঝুলে থাকলে বান্দরের মতই দেখায়। এছাড়াও একে মধ্যরাতের হরর বলা হয়। বাংলায় এটি সোনা গাছ ও কানাই ডিঙ্গা নামে পরিচিত তবে এর নাম কেন সোনা হল তার সঠিক কারণ আমার জানা নেই। একে ইংরেজিতে ব্রোকেন বোন ট্রি বলা হয় কেননা এর ফল পেকে যদি গাছের নিচে পড়ে তাহলে মনে হয় যেন কোন প্রাণীর হাড় ভেঙ্গে পড়ে আছে। এদের ফুলের আকারের উপর নির্ভর করে একে ইন্ডিয়ান ট্রুপমেট ফুল বলা হয়।

Striped Tiger

এদের চূড়া বাদে সামনের দুই ডানার ওপরের বাকি অংশ দেখতে বাঘের মতো তাই ডোরাকাটা বাঘ বা বাঘবল্লা বলে নামকরণ করা হয়েছে । এই প্রজাপতির ওপর-পিঠ কমলা রঙের এবং শিরাগুলোর ওপর চওড়া কালো কালো টান দেখা যায়। সামনের ডানার শীর্ষের দিকে কিছুটা কালো জমির ওপর সাদা পটি আছে। এই কালো অঞ্চল সাদা পটি পেরিয়ে উপর দিকে চকোলেট রঙ দেখা যায়। পুরুষ প্রজাপতির নীচের পিঠে ডানার মাঝামাঝি কালো সাদায় মেশানো একটা ছোপ থাকে ।

উদ্ভিদের প্রতিরক্ষার কৌশল

প্রাণীদের মত উদ্ভিদ নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল ব্যবহার করে,কখনো এই কৌশল অন্য উদ্ভিদের ক্ষতির কারণ হয় আবার কখনো পারস্পরিক অসহযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে বা অন্য উদ্ভিদকে...

পলিপ্লয়েড উদ্ভিদ জবা

ভেবে দেখেছেন কি, সবুজ বৃন্তে লাল গোলাপ ও টুকটুকে লাল রক্ত জবা অথবা নীল আকাশের নীচে হলুদ-কমলা সূর্যমুখী কেন বেশী ভালো লাগে? জবা হল সেইরকম টুকটুকে লাল রঙের একটি ফুল যার রূপ মাধুর্য কোন দিক থেকেই অন্য ফুলের চেয়ে কম নয়। জবার বংশগতি নিয়ে আলোচনার পূর্বে এর প্রচলিত কয়টি জাতের পরিচয় তুলে ধরছি।

হিমলকুচি

হিমলকুচি (Blue Tiger) নিমফ্যালিডি (Nymphalidae) পরিবারের সদস্য এবং ডানায়িনি উপগোত্রের অন্তর্গত এক প্রজাতির মাঝারি আকারের প্রজাপতি । এটি নীল ডোরা বা নীল বাঘ নামেও পরিচিত । হিমলকুচির বৈজ্ঞানিক নাম Tirumala limniace । এরা যূথচর পরিযায়ী আচরণ করে থাকে ।

ইপিফাইটিক ফার্ন

জলে স্থলে বাতাসে পানিতে সমুদ্রের তলদেশে কোথায় নেই উদ্ভিদ সর্বত্র এরা বিরাজমান। কিছু উদ্ভিদ অন্য উদ্ভিদের উপর সরাসরি বা আংশিক ভাবে নির্ভরশীল। আবার কখনো হোস্ট উদ্ভিদকে একেবারেই মৃত্যুর কোলে ঠেলে...

গৃহসজ্জায় উদ্ভিদের ব্যবহার ও উপকারিকা

আমরা বেডরুমে বিভিন্ন রকমের শোভাবর্ধক উদ্ভিদ রাখি কিন্তু এই সব উদ্ভিদগুলো আমাদের জন্য কতটুকু স্বাস্থ্যকর তা হয়ত অনেকেই জানি না। বেডরুম,লিভিং রুম, রিডিং রুম সাজাতে গাছ নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ,কেননা ভুল উদ্ভিদ নির্বাচনে আপনি ও আপনার পরিবারের সমূহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি আসতে পারে।

পোকা মাকড়ের ভোটাধিকার

পাখি,বিভিন্ন রকমের পোকা মাকড় ও মৌমাছি এই সকল উজ্জ্বল রঙের মোহে আকৃষ্ট হয় এটা সকলেরই জানা তবু এই প্রবন্ধের বিষয় হিসেবে কিছুটা তুলে ধরতেই হচ্ছে। উদ্ভিদ তার জিনোমে সংরক্ষিত বৈশিষ্ট্যাবলী দিয়ে চাকচিক্যময় বাহারি ফুল ফুটিয়ে ও বিভিন্ন রকম সুগন্ধ ছড়িয়ে বিভিন্ন প্রকার পাখি, পোকামাকড় ও মৌমাছিদের আকৃষ্ট করে যেন পলিনেটর হিসেবে এরা এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটায়।

পিঁপড়া ও উদ্ভিদের মিথোজীবিতা

কিছু ঘটনা কখনো কখনো গল্পকেও হার মানায়। কথাটি প্রকৃতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মিলে যায়। উদ্ভিদ ও প্রাণীদের আত্মরক্ষার কৌশলগুলোর প্রতি লক্ষ্য করলে বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই। তেমনি উদ্ভিদ ও...

উদ্ভিদ দেহে ক্যান্সার সৃষ্টিতে লিফ গলের ভূমিকা

বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারকে জয় করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কতক সমাধান হয়েছে আর কতক এখনো তিমিরেই আছে। ক্যান্সার শব্দটি শুধু মাত্র মানব জাতির জন্যই প্রযোজ্য নয়। যাদের উপর আমরা প্রত্যক্ষ...

শৈবাল ও মসের সহাবস্থান

নিম্ন শ্রেণীর কতিপয় উদ্ভিদ পরস্পরকে জড়িয়ে চমৎকার সহাবস্থান করছে যুগ যুগান্তর ধরে। এদের কোন চাওয়া নেই, মোহ নেই, ঠেলাঠেলি নেই, শুধু এইটুকু চাওয়া বড় বড় বৃক্ষ গুলি যেন পরিমিত ছায়া প্রদান করে কেননা এই সব উদ্ভিদের প্রিয় আবাসস্থল হলো ছায়া যুক্ত পরিবেশের কোন পুরানো দেয়াল গাত্র অথবা বৃক্ষের কান্ড।

শত্রু তুমি বন্ধু তুমি দুরিয়ান (Durian)

বিচিত্র একটা ফল দুরিয়ান নিয়ে কিছু তত্ব ও তথ্য পরিবেশন করছি। দুরিয়ান হলো তীব্র সুগন্ধযুক্ত ফল দেখতে আমাদের জাতিয় ফল কাঁঠালের মত। দুরিয়ানের ফুড-ফুড রিয়েকশন খুবই ভয়াবহ। কথায় আছে “সৎ সংগে স্বর্গ বাস অসৎ সংগে সর্বনাস” এই ফলের ব্যাপারটা অনেকটা এরকম। সুধী পাঠক চলুন দেখি এর ভয়াবহতা।

ইন্দোনেশীয় কৃষক ও Luwak Coffee

অনেকের ধারনা অনন্য স্বাদ গন্ধ ও এ্যরোমার জন্য নয়, শুধু এর অনন্য গল্পের কারনেই এই কফি এত বিক্ষাত হয়েছে বা সারা পৃথিবীতে এর চাহিদা এত বেশী বেড়েছে। আমি এর গল্প শুনে অল্প অল্প ভালোবেসেছিলাম তাই ইন্দোনেশিয়া সফরকালে এক পেয়ালা পান করার সুযোগ নিয়েছিলাম যদিও এটি আমার জন্য বিলাসিতা ছিলো তাতে কি পৃথিবী বিক্ষাত কফি বলে কথা!

হিজলের খোঁজে বোটানিক্যাল গার্ডেনে একদিন

এই বাগানে বৃক্ষ জাতীয় ২৯৬ টি প্রজাতি আছে যার মোট উদ্ভিদের সংখ্যা ২৮১০০টি,ঝোপ জাতীয় ৩০০ প্রজাতির উদ্ভিদের সংখ্যা ৮৩৫২টি,লতা জাতীয় ৫৫টি প্রজাতির উদ্ভিদের সংখ্যা ৪৬৫৬টি, তৃণ জাতীয় ২৫৭টি প্রজাতির উদ্ভিদের সংখ্যা ১৫১৭টি,অর্কিড জাতীয় ৮০টি প্রজাতির উদ্ভিদের সংখ্যা ২০০০টি, ক্যাকটাসের সংখ্যা ৪০০০টি এবং গোলাপের সংখ্যা ৭৫০০টি। মোট উদ্ভিদের সংখ্যা ৫৬১২৫টি।

Asian Paradise Flycatcher

লেখা: Mahin Nur. নামটি সরাসরি বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, স্বর্গের পাখি । পাখিটির সৌন্দর্য এতটাই স্বর্গীয় যে, একে সত্যিকার অর্থে স্বর্গের পাখি বললেও খুব একটা ভুল হবে না। পাখিটির দেশীয় নাম দুধরাজ। আবার শাহ বুলবুলি নামেও ডাকা হয়। পাখিটির দেহের আকার মোটামুটি ২২সে.মি.।পাখিটির সাথে আমার প্রথম দেখা হয় আমার দাদুবাড়ি ময়মনসিংহে, ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে।