মৃত্যু শঙ্কায় সেই হাতি


10 July 2016। রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বানের পানিতে ভেসে আসা বুনো হাতির মৃত্যু শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনীয় খাবার, সঙ্গীর অভাব ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে না পেরে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়েছে হাতিটি। আগের মতো চলাফেরা করতে না পারায় হাতিটি সাত দিন ধরে একই চরে অবস্থান করছে। রাজীবপুরের অধীনে ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে চড়াই হাটি চরে গতকাল শনিবার পর্যন্ত অবস্থান করছিল হাতিটি। গতকাল পর্যন্ত তাকে উদ্ধারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে থাকা বন বিভাগের পর্যবেক্ষণদলের প্রধান ঢাকা সাফারি পার্কের পরিদর্শক (বন্য প্রাণী) জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘হাতিটিকে নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। ভারতীয় দল আসার কথা বলে এখনো তারা আসছে না। এ অবস্থায় হাতিটিকে ফেলে রেখেও আমরা যেতে পারছি না।’ ঘটনাস্থলে থাকা রাজশাহী বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী সার্জন ডা. সোহেল রানা বলেন, ‘হাতিটি দুর্বল হয়ে পড়ছে। এভাবে আর বেশি দিন টিকবে না। যেকোনো সময় মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে। কারণ তার যে পরিমাণ খাবার দরকার, তা পাচ্ছে না।’ ব্রহ্মপুত্র নদের চড়াই হাটি চরের ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয় কলাগাছ কেটে নিয়ে হাতিটিকে দেওয়া উচিত। বন বিভাগের দল দিনে একবার করে দেখে তারা চলে যায়। হাতিটি খাবার পাচ্ছে কি না, তা তারা দেখে না।’ উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন ভারতের আসাম রাজ্যের শিশুমারা পাহাড়ি এলাকার ওই বুনো হাতি রৌমারীর সাহেবের আলগা সীমান্তে বানের পানির স্রোতে ভেসে বাংলাদেশের প্রবেশ করে। স্রোতের পানিতে ভাসতে ভাসতে নদের চরবাগুয়ার চরে আটকে পড়ে। এরপর চারবার অবস্থান বদল করে হাতিটি।

Source: www.kalerkantho.com/print-edition/priyo-desh/2016/07/10/379064

Photo Source: www.kalerkantho.com/print-edition/priyo-desh/2016/07/10/379064