শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণিদের জীবনধারা( শেষ পর্ব )
লক্ষ কোটি বছর আগে যখন পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব ছিলনা তখন এখানে শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণিদের আবির্ভাব হয়েছিল এবং এই পৃথিবীতে এমন অনেক স্থানই আছে যেখানে মানুষের পক্ষে বসবাস করা সম্ভব নয় সেসব স্থানেও এরা আবাস গড়েছে। এদের মধ্যে অনেক প্রজাতিরই সময়ের সাথে আগমন এবং বিলুপ্তি ঘটেছে কিন্তু অনেকেই আছে যারা কিনা সেই ডাইনোসরের যুগ থেকে এখন পর্যন্ত অবিকৃত অবস্থায় টিকে আছে। এদের শরীর শক্ত খোলক দ্বারা আবৃত থাকার কারণেই এরা অনেক সমস্যা থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পেরেছে। আজকের এই পর্বে আপনাদেরকে শক্ত আইশ দ্বারা আবৃত সরীসৃপদের সম্পর্কেই কিছু নতুন কথা জানাতে চেস্টা করব।
সরীসৃপ পর্বের বিভিন্ন সদস্য সূর্যকে কাজে লাগিয়ে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে পারলেও কচ্ছপেরা এমনটি পারেনা, এরা এদের চারপাশের পরিবেশ থেকে তাপ সংগ্রহ করে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। এজন্য মাঝে মাঝেই গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপের বিভিন্ন আগ্নেয় পর্বতের পাশে বিভিন্ন কচ্ছপদের দেখা মেলে। এরা নিজেদেরকে গরম করতেই এসব প্রতিকূল পরিবেশ ভ্রমণ করে। এরা অনেক বছর বাঁচতে পারে যেমন কিছু কিছু সদস্য প্রায় ১৫০ বছর ও বেঁচে থাকে। গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপের এসব কচ্ছপদেরকে Giant Galapagos Tortoise বলা হয়।
অনেক বড় ক্যারাপেস দ্বারা আবৃত থাকার কারণে এদের স্বাভাবিক কাজকর্মের গতি অনেক কম হয়ে যাবার কথা এবং অনেক কাজকর্মের মধ্যেই জটিলতা সৃষ্টি হবার কথা কিন্তু সবক্ষেত্রেই তারা এসব জটিলতা দূর করার জন্য নিজস্ব বুদ্ধি বের করে নিয়েছে। কিন্তু এখনো এরা নানান সমস্যায় প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হয় যেমন মিলনের শুরুতে অনেক সমস্যা হয়। পুরুষ সদস্যের তুলনায় স্ত্রী সদস্য তুলনামূলক ছোট হয়। পুরুষ সদস্যের নীচের অংশ অবতল আবার স্ত্রী সদস্যের ওপরের অংশ উঁচু থাকে যার কারণে একবার পুরুষ সদস্যটি স্ত্রী সদস্যের শরীরের ওপরে চড়তে পারলে আর সমস্যা নেই কিন্তু চড়তে গিয়েই অনেক বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। একটা চামচের ওপরে আরেকটা চামস সোজা করে রাখলে যেরকম অবস্থা হয় এখানে ঠিক একই রকম অবস্থা হয়। মিলন শুরু হবার পরে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চলতে থাকে।
উত্তর আমেরিকাতে Eastern Box Turtle পাওয়া যায়। যেখানে এদের আবাস সেখানে এদের নানান রকম প্রতিবন্ধকতা এবং শত্রু রয়েছে যার কারণে এদেরকে অনেক সচেতন থাকতে হয়। Raccoon এরকমই একটি শিকারি প্রাণি কিন্তু মজার ব্যপার হচ্ছে এসব কচ্ছপদের শিকার করা অনেকটাই অসম্ভবের কাছাকাছি। এই শিকারি প্রাণিটি কাছে আসামাত্রই এরা এদের খোলকের মধ্যে এমনভাবে ঢুকে যায় যে এদের খোলকে এমন একফোটা ছিদ্রও থাকেনা যেখানে কিনা এরা দাঁত ঢোকাতে পারবে! এবং যারকারণে কিছুসময় চেস্টা করার পরেই এরা হাল ছেড়ে দেয় এবং এদেরকে ওভাবে রেখেই চলে যায়। শরীর বাক্সের ভেতরে থাকলে এটা দেখা সম্ভবপর হয়না যে আশেপাশে কি হচ্ছে বা শিকারি প্রাণিটি পাশে আছে কিনা এজন্য শরীর বের করার পূর্বে এরা প্রথমে মাথা একটু বের করে চারপাশে পরখ করে নেয়।
প্রচন্ড গরমে আমরা যেমন ঘেমে যায়, কচ্ছপ কিংবা অন্যান্য সরীসৃপেরা কিন্তু এমনটা পারেনা কারণ এদের ঘর্মগ্রন্থি থাকেনা। গরম থেকে বাঁচতে এরা মাটির নীচে অবস্থিত গর্তে আশ্রয় নেয়। এসব গর্তগুলো এই কচ্ছপদের নিজেদের তৈরী এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৬০-৭০ ফুট হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন সাপও গরম থেকে বাঁচতে এসব গর্তে এসে আশ্রয় নেয়। গবেষকদের মতে কচ্ছপদের এসব গর্তে বিভিন্ন পর্ব বা শ্রেণির ১০০ এরও অধিক প্রজাতি এসে আশ্রয় নেয়। এদের একের অধিক গর্ত থাকে যার কারণে এরা একেক সময় একেক গর্তে আশ্রয় নিতে পারে। মাঝে মাঝে দাবানলের আগুনে গাছপালা পুড়ে ছাই ছাই হয়ে যায় তখন বিভিন্ন প্রাণি এসব গর্তে এসে আশ্রয় নেয়।
একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে যে এসব গর্তই এদের একমাত্র লুকোবার স্থান নয় বরং এর থেকে অনেক ভাল স্থান আছে সেইটা হচ্ছে পানি। কিছু কিছু কচ্ছপ তাদের জীবনের সমস্ত ভাগই পানিতে কাটায় আর এরা কাছিম নামে পরিচিত। এরা পানির নীচে হেটে বেড়ায়। শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণিদের বসবাসের জন্য সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট স্থানই হচ্ছে পানি কারণ দিনের বেলাতে এখানে তাপমাত্র তুলনামূলক বেশী ও রাত্রে তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। এজন্য এরা খুব সহজভাবেই নিজেদের শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার উত্তরভাগের নদীগুলোতে Pignosed Turtle পাওয়া যায়। শূকরের নাকের মতোন নাক থাকার কারণেই এদের এরকম নামকরণ। যেহেতু এদের পূর্বপুরুষেরা স্থলবাসী ছিল সেই কারণে এদেরকে নির্দিষ্ট সময় পর পর পানির ওপরে উঠে এসে নিশ্বাস নিতে হয়। আবার স্ত্রী সদস্যেরা পানির কাছাকাছি স্থানে গর্ত করে বালির মধ্যে ডিম পাড়ে। গরমের দিনে যখন পানির স্তর নীচে নেমে যায় তখন এরা ডিম পারে আর এসব ডিমকে অবশ্যই শুস্ক স্থানে থাকতে হয় তা নাহলে এদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। বর্ষাকালে এসব ডিম ফেটে বাচ্চা বের হয়। বৃষ্টির পানি এদের ডিমের গায়ে লাগার সাথে সাথেও ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় এবং পানিতে নেমে আসে। অন্যান্য কাছিমদের জন্য এমন হলে মৃত্যু সুনিশ্চিত থাকতো কিন্তু এরা ডিমের মধ্যে পরিণত হবার পরেও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করবার কারণে নিরাপদের পানিতে নেমে যেতে পারে। আর এদের অপেক্ষা করার পেছনে কারণ হচ্ছে যে, ঐ সময় পানিতে অনেক খাবার পাওয়া যাবে। এসব সদস্যের স্ত্রী সদস্য পরবর্তীতে ডিম পাড়তে পানি ছেড়ে মাটিতে উঠলেও কোন পুরুষ সদস্যের ক্ষেত্রে এমনটা হয়না। তারা আর কখনো ওপরে ফিরে যায়না।
মিঠাপানিতে টিকে থাকার ক্ষেত্রে এরা অনেক দক্ষ এবং অন্য আর কোন মিঠাপানির কাছিমের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়না। কিন্তু পরিবেশের সাথে টিকে থাকার সবথেকে বড় পরীক্ষা দিতে হয় সাগরে বসবাসকারী কাছিমদের। এরা মিলনরত অবস্থায়ও সাঁতার কাটতে থাকে। পুরুষ সদস্যের সামনের হাতের ফ্লিপারে এক ধরণের কাঁটার মতোন অংশ থাকে যার সাহায্যে স্ত্রী সদস্যের ক্যারাপেসের সাথে আটকে থাকে আর স্ত্রী সদস্যটি এসময়ে সাঁতার কাটতে থাকে। কিন্তু এরা যখন মিলনরত অবস্থায় থাকে তখন অন্য পুরুষ সদস্য এসে এদেরকে বাধা দেয় এমনকি মিলনরত পুরুষ সদস্যকে টেনে হিঁচড়ে আলাদা করতে চেস্টা করে। যদি ঐ একবার ঐ পুরুষ সদস্যটি আলাদা হয়ে যায় তাহলে আর মিলনে অংশ নিতে পারেনা। অনেক সময় ৩-৪ এমনকি তার থেকে বেশী পুরুষ কাছিম এসেও এদেরকে আলাদা করতে পারেনা।
প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে পানিতে কচ্ছপদের পা পড়লেও এখানে আরো এক শক্তিশালী সরীসৃপ গ্রুপের বাস। এরা হচ্ছে কুমির, কচ্ছপদের মতোন এদেরও ডাইনোসরের সময়কাল থেকে এখন পর্যন্ত খুব কমই পরিবর্তন ঘটেছে। কচ্ছপদের মতোন এদের শরীরও শক্ত খোলকে আবৃত থাকলেও এদের প্রতিটি আইশের নীচে রক্তজালিকা থাকে যার কারণে এরা সূর্যের আলোর নীচে থেকে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে পারে।
শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণিদের প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে এদের বিপাক হার অনেক কম যার কারণে দীর্ঘ অনেকদিন এরা না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে অথচ উষ্মরক্তবিশিষ্ট প্রাণি যেমন সিংহ বেশিদিন না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারেনা এ কারণে স্তন্যপায়ীরা আবাস গড়তে পারেনা এমন অনেক স্থানেই এসব প্রাণিদেরকে দেখা যায়।
উত্তর অস্ট্রেলিয়ার এক রাস্তা আছে যার দুপাশে নদী এবং মাঝে মাঝেই নদীর পানিতে এই রাস্তা ডুবে যায়। রাতের বেলা এখানে অনেক কুমির জড়ো হয় এবং কিছু কিছু সদস্য আবার প্রায় ৬০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এখানে আসে। সুতরাং একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এদের এখানে আসার নিশ্চয় নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে, আসলেই তাই! রাতের বেলা জোয়ার থাকার কারণে অনেক মাছের আগমন ঘটে এবং মাছগুলো লাফালাফি করে। কিন্তু এসময় একদম গাঢ় অন্ধকার থাকে যার কারণে কিছুই দেখা যায়না। এসময় এসব কুমিরেরা হা করে থাকে, চোয়ালে কিংবা শরীরের কোথাও মাছের ছোঁয়া পাওয়া মাত্রই এরা মাছের ওপরে লাফিয়ে পড়ে। এভাবেই এরা মাছ শিকার করে থাকে।
এসব স্থানে প্রায় ৪০-৫০ টি কুমির থাকে যার কারণে অনেকগুলোই খাবার পায়না। এরা পরবর্তী জোয়ারের অপেক্ষায় থাকে। পরবর্তী জোয়ার দিনে হয় এবং এরা তখন আবার একই উপায়ে মাছ শিকার করে কিন্তু এসময়ের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, এরা এসময় দেখতে পারে এবং তুলনামূলক অনেক সহজভাবেই মাছ শিকার করতে পারে।
বিভিন্ন ব্যাঙ ও গিরগিটি শ্রেণির প্রাণিদের মধ্যে কুমিরই হচ্ছে সবথেকে বাচাল প্রকৃতির সদস্য। প্রজনন ঋতুতে এরা অনেক হরহামেশায় ডাকতে থাকে। এদের প্রত্যেক সদস্যের নিজস্ব সীমানা থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর এদের শরীরে কাঁপন অনুভূত হয়। আর এরা এমনভাবে কাঁপতে থাকে যে এদের শরীরের ওপরের পানির অংশ নাচতে থাকে আর এই শব্দ পানিতে প্রায় ১০০ মিটার দূর থেকে শোনা যায়। এদের একজনের সীমানার মধ্যে অন্য কেও আসলে এরা কিন্তু শক্তির পরীক্ষায় নামেনা বরং চোয়াল বড় করে থাকে। আরেকভাবে এরা সংকেত দেয়, তা হচ্ছে, পানির সামান্য উঁচু দিয়ে এরা পিঠের কিছু অংশ পানির সমান্তরালে নিয়ে নিজেদের কতৃত্বের জানান দেয়। নিজেদের সদস্যদের মধ্যে শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে যোগাযোগ করা কিন্তু ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার আগেই শুরু করে। বাচ্চাগুলো ডিম ফুটে বের হবার পূর্বে এক ধরণের শব্দ করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে।
ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পরে এসব বাচ্চা মাকে ডাকতে থাকে, যদি এসব মা কুমির অনেক দূরে থাকে তারপরেও এই ডাক শুনে চলে আসে। কিন্তু এদের মনে রাখার ক্ষমতা খুব বেশি না হবার কারণে প্রথমে বের করতে পারেনা যে আসলে কোথায় তার বাচ্চাগুলো আছে! এজন্য কিছু সময় আবার কান পেতে বাচ্চাগুলোর ডাক শুনতে চেস্টা করে। বুঝতে পারার সাথে সাথেই আস্তে আস্তে মাটি সরিয়ে বাচ্চাগুলোকে বের করে আনে। বের করে আনার পরে কিন্তু এরা বাচ্চাগুলোকে ছেড়ে চলে আসেনা বরং বাচ্চাগুলোর জন্য একটা ছোট জলাশয় নির্ধারণ করে এবং একটা একটা করে বাচ্চা ঐ জলাশয়ে নিয়ে যায়। কিছু কিছু বাচ্চা আবার নিজ থেকে মাকে অনুসরণ করে এবং অনবরত ডাকতে থাকে আর সেই ডাক শুনে ঐ মা তার সব সন্তানদের খুঁজে বের করতে পারে। এখানেই এদের কাজ শেষ হয়ে যায়না, ঐ বাসাতে এমন কিছু ডিম থাকে যেগুলো থেকে বাচ্চাগুলো বের হতে পারেনি, এসব মা কুমির ঐগুলোকে একটা একটা করে জলাশয়ে নিয়ে আসে এবং দাঁত দিয়ে প্রথমে ওপরের শক্ত আবরণ ভাঙে এরপর ডিমের চামড়ার আবরণ ছিদ্র করে বাচ্চাকে বের হতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের সাহায্যের জন্য প্রায় একমাস এরা বাচ্চার পাশে থেকে বড় হতে সাহায্য করে এবং শিকারি প্রাণিদের হাত থেকে রক্ষা করে।
বাচ্চা পালনের ক্ষেত্রে কুমির সর্বদায় অনেক দায়িত্বের মর্যাদা রক্ষা করে কিন্তু ভেনিজুয়েলাতে এক ধরণের কুমির পাওয়া যায় যারা কিনা এদিক দিয়ে শ্রেষ্টত্বের দাবীদার। এখানে নার্সারি পুলে অনেক সদস্যের বাচ্চা থাকলেও এসব বাচ্চাকে রক্ষা করার দায়িত্বে থাকে নির্দিষ্ট সদস্য এবং এদের কাজই হচ্ছে এদেরকে রক্ষা করা যদিও এর মধ্যে খুবই অল্প সংখ্যক এর বাচ্চা। স্থলে বিভিন্ন শিকারি প্রাণি ঘোরাফেরা করে আর পানিতে এসব বাচ্চা কুমির মায়ের সাথে থাকে, বিপদের গন্ধ পেলেই এরা ঐ কুমিরের পিঠের ওপরে যেয়ে থাকে কিন্তু এরা সংখ্যায় এতোটায় বেশি যে সবার জন্য স্থান সংকুলান হয় না। আবার বেশি গরম পড়লে এসব পুলের পানি শুকিয়ে যায়।
এসময় এরা নিকটস্থ কোন পুলে যেখানে পানি আছে, এমন এক জায়গাতে এদের নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্ত্রী কুমিরটি একটু যায় আবার বাচ্চাগুলোর জন্য অপেক্ষা করে, আবার যায় আবার বাচ্চার ডাকের জন্য অপেক্ষা করে, একটা বাচ্চাও যদি পেছনে পড়ে থাকে তাহলে এরা আর সামনে আগায়না এভাবেই এরা একসময় নিকটস্থ পুলে পৌঁছে যায় এবং বাচ্চাগুলোকে বাচায়। যদি স্ত্রী কুমিরটি এরকম করে বাচ্চাগুলোকে না আনতো তাহলে বেশীরভাগ বাচ্চাই মারা যেত। নিজের বাচ্চা না হবার পরেও এসব কুমির এভাবেই এতোগুলো বাচ্চার জীবন রক্ষা করে।
উভচর ও সরীসৃপদেরকে আমরা শীতল রক্তের বললেও তারা অনেক ক্ষেত্রেই এমন কিছু করে যা তাদের উষ্ম হৃদয়েরই পরিচয় বহন করে। এদের প্রতিটি প্রজাতির মধ্যেই রয়েছে বিস্ময়ের ভান্ডার যার বেশীরভাগই রয়েছে আমাদের অজানা। এরা এমন কিছু কাজ করে যা কিনা অনেক ক্ষেত্রে মানুষকেও হার মানায়, এদের সৌন্দর্য অনেকক্ষেত্রেই পাখিদেরকেও হার মানায়।
• তথ্যসূত্রঃ The Life in Cold Blood (Documentary)
শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণিদের জীবনধারা (প্রথম ভাগ)
শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণিদের জীবনধারা (পর্ব-২)
শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণিদের জীবনধারা (পর্ব-৩)
শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণিদের জীবনধারা (পর্ব-৪)
লেখক পরিচিতি-
Shawan Chowdhury
Department Of Zoology
University of Dhaka
E-mail add- shawan_zl@yahoo.com
Interest- To be with nature
Facebook id: Shawan Chowdhury
(Search by using this e-mail,shawan1094061@yahoo.com)