ক্ষুধায় কাতর বানরগুলোকে বাঁচাতে হবে


24 May 2016. আবুল কালাম, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা:

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার মধুপুর বনাঞ্চলে একসময় বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি থাকলেও বনখেকোদের হাতে বন ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে এসব বন্যপ্রাণীও। এ পরিস্থিতিতেও সন্তোষ বনবিটের সঙ্গে যে সামান্য শালবন এখনও টিকে আছে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় দুই শতাধিক বানর। উজাড় হওয়া বিশাল বনের অবশিষ্ট এই অংশে প্রাকৃতিকভাবে নেই কোনো খাদ্যের সংস্থান। ফলে বানরগুলোকে খাদ্যের জন্য নির্ভর করতে হয় আশেপাশের গ্রামগুলোর ওপর। কিন্তু গ্রামগুলোর সর্বত্র কড়াকড়ি পাহারার কারণে বিপাকে পড়েছে বানরগুলো। বর্তমান পরিস্থিতিতে চরম খাদ্য সংকটে রয়েছে এসব বানর। বানরের এ খাদ্য সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সন্তোষপুর বনবিট কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় মানুষজন। বর্তমানে ২০-২৫টি বানরের কোলজুড়ে এসেছে নতুন অতিথি। কিন্তু খাদ্যাভাবে মা বানরের বুকে আসছে না দুধ। বুকে দুধ নেই জেনেও সদ্য জন্মানো শিশুদের মুখে নিজের স্তন ধরে রাখতে দেখা যায় অসহায় এই বানরগুলোকে। বছরের পর বছর ধরে চলছে এই খাদ্য সংকট। বছরখানেক আগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতি মাসে ৫০ কেজি চালের বরাদ্দ মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু বর্তমানে নির্বাচনী ব্যস্ততার ডামাডোলে গত ৩ মাস ধরে এ চালও দেয়া হচ্ছে না। ফলে পরিস্থিতি এখন চরমে। বনবিট কর্মকর্তা আরজু মিয়া জানান, বানরের বাচ্চাগুলোর বয়স ১০-১৫ দিন। পরিস্থিতি দেখে নিজেরাই বিভিন্ন স্থানে চেয়ে-চিন্তে সংগ্রহ করে খাবার সরবরাহ করছি। বনের ভিতরে বানরের দোকান খ্যাত আবু হানিফা জানান, প্রতিদিন সকালে বানরগুলো খাবারের জন্য পাগল হয়ে যায়। সব বানর এসে জড়ো হয় দোকানের সামনে। ক্ষুধার্ত ও অসহায় এই বানরগুলোকে দেখে চুপ থাকতে পারি না। এ পর্যন্ত ২০-২৫ কেজির মতো চাল কিনে বানরগুলোর খাবার দিয়েছি। তিনি বানরগুলোর খাবার সংকট দূর করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Source: www.ittefaq.com.bd/print-edition/country/2016/05/24/121358

Photo Source: www.ittefaq.com.bd/print-edition/country/2016/05/24/121358