নেচার ক্লাবের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দ্বিজেন শর্মা
নটরডেম নেচার স্টাডি ক্লাবের ২২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার দেয়া সম্পুর্ণ বক্তব্যের লিখিত রূপ
পূর্ব কথা: নটরডেম নেচার স্টাডি ক্লাবের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এই ক্লাবের একদল তরুণের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছিল নটরডেম কলেজের বায়োলজি ল্যাব। প্রকৃতিকে ভালোবেসে এই নবীন প্রকৃতিবিদগন বাংলাদেশ তথা সমগ্র বিশ্বকে সুন্দর করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তারা জানে এটি বলা যত সহজ করা ঠিক ততটাই কঠিন। তাইতো তারা তাদের অগ্রজদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শের ঝুলি থেকে কিছুটা জ্ঞান অর্জন করতে ছুটে এসেছিল এই আলোচনা অনুষ্ঠানে। আর এই সভাতেই মধ্যমনি হয়ে যিনি বসে ছিলেন তিনি আর কেউ নন, অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা। যাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। ইতমধ্যে নিসর্গ ওয়েবে একাধিকবার তার প্রসঙ্গ এসেছে। আমাদের এই ঢাকার প্রকৃতির সৌন্দর্যায়নে অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার অবদান অপরিসীম। প্রকৃতি থেকে তাকে আলাদা করা দুঃষ্কর। নেচার স্টাডি ক্লাবের প্রতিষ্ঠা বর্ষিকীতে তাই তিনি এ সব নবীন প্রকৃতি প্রেমীদেরকে উৎসাহ দেবার জন্য তার মূল্যবান সময়ের কিছুটা আমাদের দেন ৩১আগষ্ট,২০০৬। তার বক্তব্য সবময়ের জন্যই মূল্যবান। তার বক্তব্য মূলত নবীনদের উদ্দেশ্য করে বলা হলেও তা সবার মধ্যেই নাড়া দিয়েছিল সেই অনুষ্ঠানে। তার দেয়া বক্তব্য লিখিত আকারে প্রকাশ করা হলো তাদের জন,্য যারা সেদিন উপস্থিত হতে পারেননি। আর এই লিখিত রূপটি সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছেন আমাদের নিউজ এডিটর শুহান সাঈদ এবং সিনিয়র রিপোর্টার শেখর রায়। – নিসর্গ ডেস্ক।
“নটরডেম নেচার স্টাডি ক্লাবের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সদস্য; আমি ’৭৪ এ এই কলেজ (নটরডেম কলেজ) থেকে চলে যাই। এই ক্লাব এর পরবর্তী সংযোজন। কিন্তু এই ক্লাব সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানার সুযোগ পেয়েছি অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও শেখর রায় এর মাধ্যমে। আমি মস্কোয় ছিলাম অনেকদিন, মস্কো থেকে যখন ছুটিতে দেশে আসতাম তখন নটরডেম কলেজে অবশ্যই অনেকবার আসতাম এবং মিজানুর রহমানের সঙ্গে বসে গল্প করতাম। আমি দেখতাম তোমাদের নিসর্গ পত্রিকা বের হচ্ছে এবং মিজান কম্পিউটারে সেটা কম্পোজ করছেন, কাজ করছেন এবং আমিও বোধ হয় একাধিকবার নিসর্গ পত্রিকায় লিখেছি। তোমাদের ক্লাব হচ্ছে পরের ঘটনা, আমি এর আগের ঘটনা বলতে চাই। আমি এই কলেজে ’৬২ তে আসি। সম্ভবত ’৬৪ হবে, ফাদার বেনাস আর আমি যখন এই কলেজ চত্ত্বরের নিসর্গ সুবাদ পরিকল্পনা করি, তখন আমরা ভেবেছিলাম যে আমাদের ছাত্ররা হয়তো একদিন এখানে লেখাপড়া শিখে প্রকৃতি প্রেমিক হবে এবং প্রকৃতি সুরক্ষায় তারা অবদান রাখবে। সেই সুফল যে ফলতে শুরু করেছে সেটা আমি জানতাম, আজ দেখলাম, তোমাদের এবং দেখে আমি অত্যন্ত আশান্বিত যে আমাদের স্বপ্ন স্বার্থক হয়েছে।
আমার বিশ্বাস তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ নামি প্রকৃতি প্রেমী হবে। প্রকৃতি প্রেমিক হওয়া এখন শুধু মাত্র যে বনে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়ানো, কিংবা প্রকৃতি সুরক্ষার জন্য আন্দোলন করা, এছাড়াও প্রকৃতি সংরক্ষণ একটি শাস্ত্র হিসেবেও এখন প্রতিষ্ঠিত। Environmental Studies এখন পড়ানো হয়। অথচ আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি সেটা ’৫৬ টু ’৫৮। এর পড়েও যখন আমরা এই কলেজে ক্যাম্পাস তৈরী করি তখনো ইকলোজি ছিল কিন্তু ইকলোজিক্যাল প্রবলেম নিয়ে কারো কোন রকম উদ্বেগ ছিলনা। আমাদের দেশেতো নয়ই, বিদেশেও সে রকম আমরা শুনিনি। এটা গত পঞ্চাশ বছরের ঘটনা। দেখ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পঞ্চাশ বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কি বিষ্ময়কর উন্নতি হয়েছে। ইতিপূর্বে আমাদের বক্তা কম্পিউটার সম্পর্কে বলেছেন, আরো কত রকম অডিও ভিডিও সিস্টেম গ্রো করেছে। তাছাড়া প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বিপ্লব ঘটে গেছে। আমরা এটাকে আবার নতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিপ্লবও বলতে পারি। কিন্তু এই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ অনেক বেড়ে গেছে, ওজন লেয়ারে ক্ষয় ধরে গেছে, ক্রান্তিও অরণ্য ধ্বংস হতে চলেছে, পৃথিবীর সমস্ত নদীনালা বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে এমনকি সমুদ্রও আজকে দূষণের বাইরে নেই। আমরা একদিন ভেবেছি যে পৃথিবীর সম্পদ ভান্ডার অফুরান। আজ আমরা ভালো করেই জানি পৃথিবীর সম্পদ ভান্ডার সীমিত। সুতরাং তার অপব্যবহার করা চলবে না। আমরা আরো অনেক কিছু বুঝেছি যে, প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের একটি সমঝোতায় পৌঁছতে হবে। এ ব্যাপারে আমি পরে একটু বলব। এর আগে তোমাদেরকে আমাদের কলেজ ক্যাম্পাস এর সৌন্দর্যায়ন সম্পর্কে একটু বলা প্রয়োজন মনে করি।
তখন ফাদার টিম প্রিন্সিপল ছিলেন। আমি এসেছি বরিশাল বি.এম. কলেজ থেকে। তাকে আমি একটি চিঠি লিখলাম যে আমাদের পুরো কলেজের মাঠটি শূণ্য পড়ে আছে। আমরা উদ্ভিদবিদ্যা পড়াই, আমাদের গাছপালার নানান রকম নমুনা সংগ্রহ করতে হয়, এককথায় গোটা ক্যাম্পাসটাকে আমরা গাছপালা লাগিয়ে হয়তো সুন্দর করে তুলতে পারি। আমাদের দেশে এই ট্রেডিশন ততটা প্রচলিত নয় কিন্তু ইউরোপ এবং আমেরিকায় কলেজ বা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস তৈরী, তার সৌন্দর্যায়ন একটি বিশেষ বিজ্ঞানও বটে। সবগুলি ক্যাম্পাসই সেইসব দেশে অসাধারণ সুন্দর, ল্যান্ডস্কেপ গার্ডেনের মতো। আমি নিজেই ল্যান্ডস্কেপ গার্ডেনিং কিছুই জানতাম না। আমি বাগান করেছি, তবে সবই আমাদের দেশীও পুরান ধরনের ফরম্যাল গর্ডেনিং। যেমন লাইন ধরে গাছপালা লাগানো, লন স্কয়ার বা রেকট্যাংগুলার লন এই সব ধারণা। এর বাইরে আমার কোন ধারণা ছিল না। তো আমি ফাদার টিমকে একটি চিঠি লিখলাম। কোন সাড়া শব্দ নেই। গ্রীষ্মের ছুটির আগের দিন ফাদার বেনাস আমার সঙ্গে দেখা করে বললেন যে, তুমি কালকে এসো, কালকে কলেজ ছুটি হয়ে যাবে কেউ থাকবে না, তোমার বায়োলজি ল্যাব এ আসো। তো আমি সকালে ল্যাব-এ এলাম। এসে দেখলাম আমাদের ডিসেকটিং টেবিলের উপরে কলেজের পুরো একটা কাঠামো কাগজ দিয়ে তৈরী করে রাখা হয়েছে। তখন দুটো বিল্ডিং ছিল, মেইন বিল্ডিং আর পিছনে হোস্টেল। আর কোন কিছু ছিল না। পুরো ক্যাম্পাস খালি। আর ঐখানে যে বড় বড় রেইনট্রি আছে ওয়ালের পাশে, এই কয়েকটি রেইনট্রি ছিল। আর সম্ভবত কয়েকটা নারকেল গাছ ছিল সামনে, যতটুকু আমার এখনো মনে আছে। ফাদার বেনাস বড় একটা কাগজের দুটো বিল্ডিং এর কাঠামো তৈরী করে পথগুলি এঁকেছেন। আর কাঠির উপরে তুলো দিয়ে অনেকগুলো গাছ নানান হাইটের, নানান স্ট্রাকচারের গাছ বানিয়ে রেখেছেন। আমাকে বললেন এবার তুমি এগুলো বসাও কোথায় কোন গাছ লাগাবে। এই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। এটিকে ল্যান্ডস্কেপ বা অ্যাব্স্ট্রাক্ট বা ইনফরমাল গার্ডেনিং বলে যেখানে লাইন বন্দী গাছপালা লাগানো হয়না এবং সরল রেখার জ্যামিতির কাঠামো তৈরী হয়না। এখানে রাস্তাগুলো সব এঁকে বেঁকে যায়, গাছপালাগুলি ছড়িয়ে লাগানো হয় যেন প্রকৃতির মধ্যে আছি। তারপর আস্তে আস্তে এইসব গাছপালা বড় হয়েছে এবং বিশাল ক্যাম্পাস হয়েছে এবং তোমরা এই ক্যাম্পাসে লেখাপড়া করছো। এটা বোধহয় বাংলাদেশের খুব দূর্লভ। অন্য বিদ্যায়তনে এত সুন্দর ক্যাম্পাস আছে কিনা আমি জানি না। আমার ধারণা কোন কলেজে অন্তত নেই।
প্রকৃতিকে ভালোবাসা এটা খুবই আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি, কারণ আমরা প্রকৃতির মধ্যেই বড় হয়েছি এবং প্রকৃতির মধ্যেই আমাদের লক্ষ লক্ষ বছর কেটেছে। মানুষের দশ হাজার বছর কৃষি সভ্যতার পথে তাদের বিকাশ ঘটেছে। তারপর শিল্প নির্মাণ আমরা শিখেছি। শিল্প বিপ্লবেরও আজকে হয়তো চারশ বছর পার হয়ে গিয়েছে এবং ক্রমাগতই প্রকৃতির উপর আমাদের নিয়ন্ত্রন বাড়ছে। আসলে মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ক মোটেই সহজ নয়, খুবই জটিল এবং আমরা প্রকৃতিকে জয়ের মধ্যেই সভ্যতার সর্বোত্তম বিকাশ বলে এক সময় ধারণা করেছি। আমার পূর্ববর্তী বক্তা অধ্যাপক সুধীর কুমার দত্ত তোমাদের এ সম্পর্কে বলেছেন যে, এখন মানুষ উপলব্ধি করতে শুরু করেছে যে প্রকৃতিকে আমরা জয় করতে পারব না। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের আপোস করতে হবে। কিন্তু আপোসটা কি রকম হবে তার কিন্তু খুব সুস্পষ্ট ধারণা আমাদের এখনো নেই। তোমরা নিশ্চই চেকোমেনদিসের নাম জানো। ব্রাজিলের যে রেড ইন্ডিয়ান, তিনি আমাজন অরণ্য রক্ষার সংগ্রামে আত্মদান করেছেন। যিনি সমগ্র পৃথিবীর প্রকৃতি সংরক্ষক সৈনিক হিসেবে সন্মানিত। তার উপর অনেক বই লেখা হয়েছে এবং অনেক চলচিত্রও তৈরী হয়েছে। গ্রীনপিস্ এর নাম নিশ্চই জানো। যারা সারা পৃথিবীতে পরিবেশ মূলক কার্যক্রম করে। আমি গ্রীনপিসের একটি ছবি দেখেছিলাম সেটা তোমাদের বলি। এটা আমার মনে গেঁথে আছে এবং চিরদিন গেঁথে থাকবে। সিল নিশ্চই জানো স্তন্যপায়ী সামুদ্রিক প্রাণী, তার গায়ে কোন লোম নেই। কিন্তু তার বাচ্চাদের গায়ে লোম হয় এবং সেই চামড়া খুবই মহার্ঘ। এ দিয়ে খুব দামী ওভারকোট তৈরী হয় শীতের দেশে। সেজন্য সিল শিকারীরা এসব বাচ্চাদের মেরে তাদের চামড়া নিয়ে ব্যবসা করে। সেই তুষারাবৃত এলাকায় এরকম অসংখ্য সিল এবং তাদের অজস্র বাচ্চা। একটি জাহাজ গিয়ে সেখানে থেমেছে, শিকারীরা নেমেছে। তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সব বাচ্চাগুলোকে মেরে ফেলছে এবং তার মায়েরা বাবারা দূরে অনেক দূরে সরে দাড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছে। তারপরে তারা তাদের চামড়া ছাড়িয়ে চামড়া নিয়ে চলে গেল। তাদের বাঁচানোর জন্য গ্রীনপিস্ এই সব যায়গায় পৌঁছে একরকম রং তাদের গায়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে যে রং কিছুতেই মুছবে না এবং এই চামড়ার দাম প্রায় থাকবে না। দ্বিতীয়ত তারা এই আন্দোলন করেছে সমস্ত মানুষকে বুঝিয়েছে যে সিলের বাচ্চার চামড়ার তৈরী ওভারকোট আপনারা ব্যবহার করবেন না এটা অমানবিক এবং এটা প্রকৃতি বিরোধী, মানবতা বিরোধী। সেই আন্দোলন তারা করেছে এবং তারা সফল হয়েছে।
তোমাদের প্রকৃতি সম্পর্কে প্রচুর পড়াশুনার স্কোপ আছে, অজস্র বইপত্র লেখা হয়েছে। এ নিয়ে নানা ধরনের বিশ্লেষণ হচ্ছে। জিনিসটাকে খুব সিরিয়াসলি গ্রহণ করার চেষ্টা করবে। কারণ মানব জাতির ভবিষ্যৎ, প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সভ্যতা একটা আপোসের উপর নির্ভরশীল এবং এই ভারসাম্য খুব একটা সূক্ষ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। যে জন্য পশ্চিমে পরিবেশ নিয়ে যারা কাজ করেন, যারা আন্দোলন করেন তাদের মধ্যে দুটো ভাগ আছে, সুস্পষ্ট দুটো গ্র“প তৈরী হয়েছে। একদল ভাবছেন যে, ম্যানেজারিয়েল সিস্টেম, যেমন দূষণ কমানো, শিল্প বর্জ্য শোধন করে পানিতে ছাড়া আরো নানা রকম নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আমরা পরিবেশের সঙ্গে একটা সমঝোতায় পৌঁছতে পারবো। যাতে আমাদের শিল্পোন্নোত সমাজের বিকাশ অব্যাহত থাকবে। আমাদের সম্পদ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। আমরা আরো সুখ, আরো সমৃদ্ধশালী হব। আর একদল বলছে সেটা সম্ভব নয়। এই ধরনের ব্যবস্থা সাময়িক একটি ভারসাম্য হতে পারে প্রকৃতি এবং মানুষের সঙ্গে; সভ্যতা এবং প্রকৃতির মধ্যে কিন্তু এটা স্থায়ী হবে না। এজন্য প্রয়োজন সমস্ত উৎপাদন ব্যবস্থা এবং পরিভোগ ব্যবস্থার পূনর্বিন্যাস এবং এ সম্পর্কে নতুন চিন্তা যেটা একটি বিশাল বিপ্লবের নামান্তর। কারণ আমরা শিল্প সভ্যতাকে যদি বর্জন করি তাহলে আমাদের জীবন যাত্রার মান অনেক নিচে নেমে যাবে। এটা মানুষ চাইবে কিনা আমি জানি না তবে আমার নিজের ধারণা মানুষকে একটি সহজ জীবন বেছে নিতে হবে এবং তার ভোগবাদ পরিত্যাগ করতে হবে, তার মানসিক সম্পদ বৃদ্ধি করতে হবে। এইভাবেই শুধু আমরা প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের, সভ্যতার সঙ্গে প্রকৃতির নিয়মের একটি সামঞ্জস্য বিধান হয়তো করতে পারি। তোমাদের আমি আবারো বলব প্রচুর পড়াশুনার ম্যাটেরিয়েল আছে পরিবেশ সম্পর্কে, পরিবেশ সাহিত্য পড়ে ফেলবে। পরিবেশ নিয়ে কবিতা লেখা হচ্ছে, গল্প লেখা হচ্ছে, উপন্যাস লেখা হচ্ছে। ইকো স্টোরি, ইকো নোভেল, ইকো ফিল্ম অজস্র অজস্র…। আমাদের দেশে হয়তো অতোটুকু সে হচ্ছে না, কিন্তু এখন আমাদের কাগজে প্রায় প্রতি নিয়তই প্রকৃতি সম্পর্কিত লেখা বের হয়। আমাদের লেখকরা প্রকৃতি নিয়ে বই লিখছেন। সুতরাং তোমরা যদি চাও প্রকৃতি সম্পর্কে জানার, খুব একটা অসুবিধা তোমাদের হবে না। আমাদের সকলকেই প্রকৃতি সচেতন হতে হবে আমরা প্রকৃতির সন্তান প্রকৃতি আমাদের মা। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের একটি সহযোগিতামূলক সিমবায়োটিক জীবনযাত্রা নির্বাহ পদ্ধতি সম্পর্কে ভাবতে হবে। আমাদের জেনারেশনে ততো কিছুই হবে না কিন্তু তোমাদের জেনারেশনে অনেক অনেক সম্পাদনা, অনেক অনেক আশঙ্কা আছে। সুতরাং ভাবির পৃথিবী তোমাদের ফলপ্রসু। তোমাদের ভাবতে হবে, তোমাদের কাজ করতে হবে এবং তোমাদের নিজেদের বাঁচতে হবে প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।”
পরিশেষ: নটরডেম নেচার স্টাডি ক্লাবের ২২তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী উৎযাপন অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ ভিডিও চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। এটি সংগ্রহের জন্য উৎসাহী ব্যক্তিবর্গকে ০১৫২ ৩৪৫ ১৩৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো।